‘নিন্দা জানানোর ভাষা নেই, লজ্জার শেষ নেই’

ঢাবি প্রোভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনরাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টিকে কলঙ্কজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন প্রোভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক, নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। আমাদের লজ্জার শেষ নেই। মেয়েটিকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, পরে তাকে অপমান করেছে দুর্বৃত্তরা। আমরা সরকারের কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।’

সোমবার (৬ জানুয়ারি) ধর্ষণের শিকার ঢাবি ছাত্রীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

ঢাবির প্রোভিসি আরও বলেন, ‘মেয়েটি শারীরিকভাবে ভালো আছে। তবে তার মানসিক ক্ষত নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তার চিকিৎসার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা তার চিকিৎসার সব ধরনের দায়িত্ব নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো খুবই সক্রিয়। অচিরেই দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে আশা করি।’

বিশ্ববিদ্যালয় এ ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ নেবে কিনা জানতে চাইলে প্রোভিসি মুহাম্মদ সামাদ আরও বলেন, ‘মাত্র অফিস খুললো। আমি যাচ্ছি, ভিসির সঙ্গে কথা বলে বাকি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া, সরকারের কাছে আমরা অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাই। আমরাও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।’

এদিকে, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক।

প্রসঙ্গত, রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। পরে রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন:
কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ