নির্বাচনে দুই নম্বরি হলে ৩০ তারিখ থেকে সরকার পতন আন্দোলন: মান্না

নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠান এবং ফল ঘোষণা, এটাই শেষ খেলা নয় বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, তারা (আওয়ামী লীগ) মনে করতে পারে এটাই ফাইনাল খেলা। কিন্তু এবার বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলো ঘোষণা করেছে, যদি দুই নম্বরি করা হয়, তাহলে ৩০ তারিখ থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে সিটি নির্বাচনে ইভিএম বাতিলের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, ‌‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এক অদ্ভুত জীব। তাকে যাই বলেন উনি শুনবেন, শোনার পর তার নিজের কথাই বলবেন। উনি যে কিছু শুনেছেন, এটা মনে হবে না। আমরা তার সঙ্গে যে কয়েকবার কথা বলতে গিয়েছি, একই ঘটনা দেখেছি। যেখানে নির্বাচন কমিশনার নিজেই চোর, নিজেই ডাকাত, ইভিএম নিয়ে তার এত কথাবার্তা শুনে আমাদের লাভ নেই।’

ইভিএম নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কোনও কারণে যদি কারও আঙুলের ছাপ না মিলে, তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার সেখানে ১০০টির মধ্যে ২৫টি ভোট নিজে দিতে পারবেন। এর চাইতে ফোরটুয়েন্টি আর কী হতে পারে?’

বিভিন্ন দেশের ইভিএম বাতিল নিয়ে মান্না বলেন, জার্মানি ইভিএম আবিষ্কার করেছিল, তবে সেখানে ইভিএমে কোনও ভোট হয় না। আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসও সে পদ্ধতি বাতিল করেছে। ভারতেও নির্বাচন কমিশন বিভিন্নজনের মতামত নিয়ে ইভিএমের পরিবর্ধন সংশোধন করেছে। সেখানেও ইভিএম নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রচলিত ইভিএমের ডিজাইনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশে ব্যবহৃত ইভিএমের ডিজাইন ঠিকমতো অনুসরণ করা হয়নি। শ্রদ্ধেয় জামিলুর রেজা চৌধুরী সেটাতে স্বাক্ষর পর্যন্ত করেননি। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এটা চালু করেছি যাতে দিনের ভোট রাতে না হয়। তার মানে আগে যে রাতে ভোট হয়েছিল, সেটা তিনি স্বীকার করছেন।’

মান্না আরও বলেন, একটা মেশিন আমরা যেভাবেই কাজে লাগাতে চাই, সেভাবে কাজে লাগানো যায়। আমরা যদি মনে করি ইভিএমের মধ্যে আমরা সেইরকম কমান্ড দেবো, আপনি যেখানেই চাপ দেন নৌকা মার্কায় সিলটা যাবে। ভেতরের ঘটনা তো দেখতে পাচ্ছেন না। সুতরাং, এটা বাতিল করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।