মণিরামপুরের সাবেক ওসি ছয়রুদ্দিনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

হাইকোর্ট

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর দায়ের করা মামলায় যশোরের মণিরামপুর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছয়রুদ্দিন আহমেদকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

এছাড়াও তাকে দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একেএম ফারহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, যশোরের মণিরামপুর থানার নেহালপুর মৌজায় জনৈক প্রভাষ চন্দ্র ঘোষ ধান চাষ করেন। সেই জমিতে বিরোধ দেখা দিলে  মণিরামপুর থানার ওসি মো. ছয়রুদ্দিন আহমেদের হুকুমে প্রভাষ চন্দ্র ঘোষের ৫ একর জমির মধ্য থেকে ৫ বিঘা জমির ৬১ মণ ৫০০ কেজি ধান কেটে নিয়ে নেহালপুর বাজারে হাটচান্দিতে মাড়াই করে গোডাউন ভাড়া করে রাখা হয়। আদালতের অনুমতি না নিয়ে, নিলাম না ডেকে, ৪১ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করা হয় সেই ধান।

প্রভাষ চন্দ্র জানান, ওই ধান ও পরবর্তীতে  টাকা ফেরত চাইলে ছয়রুদ্দিন ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। বাদী নিরুপায় হয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। পরে ছয়রুদ্দিন প্রভাষকে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা দেন। এই ঘটনায় প্রভাষ চন্দ্র ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই ঘটনায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই যশোর স্পেশাল জজ ( জেলা জজ) শুনানির সময় মামলা থেকে ওসি ছয়রুদ্দিনকে অব্যাহতি দেন। সেই অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।