কাউন্সিলর অফিসগুলোকে পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড কমপ্লেক্স করার দাবি

সিটিসিটি করপোরেশনের সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসগুলোকে পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড কমপ্লেক্স করার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।

সংগঠনটি বলছে, সিটি করপোরেশন যেসব নাগরিক সুবিধাদি দিয়ে থাকে তা এই কমপ্লেক্স থেকে পরিচালিত হতে পারে। ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করতে হলে বিশেষ দুই একটা অঞ্চলের উন্নতি নয়, সব অঞ্চলকে নিয়ে ভাবা দরকার। সে কারণে সিটি বাজেট তৈরি করার সময় যেন স্থানিকভাবে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হয়। খাতভিত্তিক বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে অঞ্চলভেদে যদি বাজেট বরাদ্দ করা হয়, তবে দুর্বল বা অপেক্ষাকৃত কম সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত অঞ্চলগুলো তাদের জন্য বেশি বাজেট বরাদ্দের জন্য দাবি করতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর প্ল্যানার্স টাওয়ারে ‘ঢাকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন: নগর পরিকল্পনাবিদদের পক্ষ থেকে নাগরিক ইশতেহার’শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইনস্টিটিউটের পক্ষে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগর পরিকল্পনাবিদদের পক্ষ থেকে নাগরিক ইশতেহার শীর্ষক একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান।

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু ওয়ার্ড কাউন্সিল কেন্দ্রিক হওয়া উচিত। এতে করে এলাকার মানুষদের ভেতর নিজের এলাকায় উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার এবং অংশগ্রহণের আগ্রহ জন্মাবে। স্থানীয় মানুষজন জানবে যে, তার যেকোনও কাজের জন্য এলাকার কাউন্সিলরের অফিসেই যেতে হবে এবং ওখানে গেলে কী ধরনের সেবা পাবেন। এলাকার মানুষদের সঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং অফিসের সরাসরি যোগাযোগ হবে।’

বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের সকল সেবাগুলো ওয়ার্ড কাউন্সিল ভিত্তিক হতে হবে। সকল কেন্দ্রবিন্দু ওয়ার্ড কাউন্সিল হলে, আমরা মানসম্মত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পেতে পারি। এতে জনগনের সাথে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা বাড়বে।’