নতুন করে ভোটের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করায় প্রচারণা শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে। এদিন থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় কোনও ব্যক্তি জনসভা বা কোনও অনুষ্ঠান আহ্বান, এসবে যোগদান কিংবা কোনও মিছিল, শোভাযাত্রা করতে পারবেন না।
সরেজমিন মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাড়া-মহল্লা ছেয়ে গেছে নির্বাচনি পোস্টারে। রাস্তায় রাস্তায় বাজছে নির্বাচনি গান। মাঝে মাঝে ভোটের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠছে বিভিন্ন এলাকা। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তাদের কেউ কেউ পথসভা করছেন, কেউ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমর্থন চাইছেন, কেউ নিজ এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের মিছিল করে ভোট চাইছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, পোস্টারে পোস্টারে ঢাকা পড়েছে পুরো এলাকা। এই এলাকায় প্রার্থীদের প্রচারণার আওয়াজ তুলনামূলক কম, বরং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে এই ওয়ার্ডে রিকশায় মাইক লাগিয়ে ভোট চাওয়ার বিষয়টি চোখে পড়ার মতো। ওয়ার্ডটিতে কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শঙ্কার কথা বললেও স্বতন্ত্রসহ অন্য প্রার্থীরা বললেন, পরিবেশ ভালোই আছে।
৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ আসনে কাউন্সিলর প্রার্থী ডেইজী সারোয়ার বলেন, ‘আমার প্রচারণা চলছে। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি আমি। গিয়ে উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ভোট চাচ্ছি। নিয়মিতভাবেই প্রচারণা করছি। কিছু সমস্যা তো আছেই। প্রতিপক্ষের হুমকি-ধমকি, ক্যাম্প ভেঙে দেওয়া, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা।’ নির্বাচনের দিন এসব ঘটনা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকাতেও নির্বাচন ঘিরে উৎসবের আমেজ। পোস্টারে পোস্টারে যেমন ছেয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা, তেমনি ব্যস্ততা দেখা গেলো নির্বাচনি ক্যাম্প তৈরিতে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান মাহবুব বললেন, ‘নির্বাচনের জন্য সুন্দর পরিবেশ আছে। আমি আজ দিনভর গণসংযোগ করেছি। ভোটাররাও তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন, আমাদের সঙ্গে আছেন বলে জানিয়েছেন তারা।’
প্রসঙ্গত, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা সাড়ে ৫৪ লাখ। এর মধ্যে উত্তর সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ এবং দক্ষিণ সিটিতে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। উত্তরে সাধারণ ওয়ার্ড আছে ৫৪টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি এবং দক্ষিণে সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি। উত্তর সিটিতে সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী ২৫১ জন, সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর প্রার্থী ৭৭ জন। আর দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী ৩২৬ জন, সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী ৮২ জন।