আদালতে বজলুর রশীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
এর আগে বজলুর রশীদ রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। তবে এই টাকার কোনও বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। এমনকি এই ফ্ল্যাট কেনা-সংক্রান্ত কোনও তথ্যও তার আয়কর নথিতে ছিল না। তাই জ্ঞাত আয়ের উৎস অসঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় বজলুর রশীদ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে তাকে সরাসরি জামিন না দিয়ে রুল জারি করেন আদালত। পরে ওই রুল শুনানি নিয়ে খারিজ করে দিলেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দফতরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ডিআইজি হিসেবে এর আগে সর্বশেষ রাজশাহীতে ছিলেন তিনি। জেল সুপার পদে বরগুনায় কর্মজীবন শুরু করে সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি এবং জ্যেষ্ঠ জেল সুপার হিসেবে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত ছিলেন।