শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে নিজ কেন্দ্র শহীদ শাহজাহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন ইশরাক। একইসঙ্গে এই কেন্দ্রে নিজের পোলিং এজেন্টকেও বসিয়ে দিয়ে আসেন। এরপর ছুটে যান সেন্ট্রাল ইউমেন্স কলেজ, করাতিটোলা সি.এম.এস. মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, স্বামীবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১০টি কেন্দ্রে।
এ সময় ইশরাককে বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে থাকা এজেন্টদের ভোটকক্ষে প্রবেশ করিয়ে দিতে দেখা যায়। আবার কখনও ভোটারদের বিভিন্ন অভিযোগ শোনেন। বেলা ১১টায় সেন্ট্রাল ইউমেন্স কলেজে নিজের কয়েকজন পোলিং এজেন্টকে সঙ্গে করে নিয়ে ভোটকক্ষে বসিয়ে দিয়ে আসতেও দেখা যায় তাকে।
মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমি প্রত্যেক জায়গায় গিয়ে এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢোকানোর চেষ্টা করেছি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাড়ে ৬ হাজার এজেন্ট রয়েছে, সাড়ে ১১শ কেন্দ্র রয়েছে। এখন আমি একা কতগুলো কেন্দ্রে যাবো? কতগুলো কাভার করবো।
এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করে বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘কোথাও জোরজবরদস্তি করে আমাদের এজেন্টকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও এজেন্টের এই ভুল সেই ভুল বলে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আবার মহিলা কেন্দ্রে পুরুষ থাকা যাবে না বলে এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অথচ মহিলা কেন্দ্রে পুরুষ এজেন্ট থাকতে পারবে।’
দুপুরে রায়েরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ইশরাক অভিযোগ করেন, ‘ভোটাররা যখন হাতের ছাপ দিয়ে ব্যালট পেপার অ্যাকটিভ করছে তখন নৌকা মার্কার এজেন্ট গোপন কক্ষে গিয়ে তাদের মার্কায় ভোট দিয়ে দিচ্ছে। এটাই সবখানে হচ্ছে। আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে ভোটাররা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলছেন ভোট দিতে পারছি না। যদি সম্ভব হতো তাহলে আমি সবাইকে হেল্প করতাম। আমি তো চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু কিছু হচ্ছে না।’
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কারচুপির বিষয়টি আমরা আগে থেকেই বলেছি। এখন আপনারা দেখতে পারছেন। আমি চেষ্টা ও লড়াই করে যাবো। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো।’