‘হামলাকারীরা গ্রেফতার না হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইজিপির কার্যালয়ে ঘেরাও হবে’

ডিইউজের মানববন্ধনসাংবাদিকরা ঝুঁকিতে থাকলে রাষ্ট্রও ঝুঁকিতে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলছেন, ‘দেশে একের পর এক সাংবাদিক  নির্যাতন ও হামলার ঘটনা ঘটলেও কোনও প্রতিকার হচ্ছে না।  সরকার  অতিদ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার না করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইজিপির কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।’

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে সার্ক ফোয়ারায় ‘নিরাপদ সাংবাদিকতা চাই, কণ্ঠরোধ নয়, চাই স্বাধীন সাংবাদিকতা’ শীর্ষক মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিক সমাজকে রক্তাক্ত করা মানে গোটা জাতিকে রক্তাক্ত করা। জাতিকে রক্তাক্ত করা মানেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে রক্তাক্ত করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি যদি মনে করেন সাংবাদিক সমাজ ঘুমিয়ে আছে তাহলে আপনি ভুল করবেন। রাস্তায় না দাঁড়ালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করে না। আজ বিভিন্ন পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। কিন্তু আমরা সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ হতে পারি না। দোষীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করা না হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে আইজিপির ভবন ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

ডিইউজে’র অর্থ সম্পাদক উম্মুল ওয়ারা সুইটি বলেন, ‘আজ আমরা এখানে থাকার কথা নয়। আজ ফাল্গুন উৎসব। সেখানে আমাদের থাকার কথা। আমরা জানি না ফাল্গুন উৎসবে গেলে সেখানে আমাদের আঘাত করা হবে কিনা। যারা সরকারকে বিব্রত করতে চায়, যারা রাষ্ট্রকে বিতর্কিত করতে চায় তারাই এ ধরনের কাণ্ড ঘটাচ্ছে।’

সংগঠনের সভাপতি আবু জাফর সূর্য বলেন, ‘আমরা রুটি-রুজির নিশ্চয়তা চাই। পেশাগত সুরক্ষা চাই। প্রধানমন্ত্রী আপনি দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সাংবাদিকরা ভালো নেই। সাংবাদিকদের বেতন হয় না। আমরা আর কতবার রাস্তায় দাঁড়াবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে পত্রিকার মালিকরা কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন না, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ছিলেন না, তখন একমাত্র সাংবাদিকরাই পক্ষে ছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় পত্রিকার মালিকরা ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু আমরা সাংবাদিকরাই আপনাদের পক্ষে ছিলাম।’

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, এখন যেভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা হচ্ছে তা রাষ্ট্র দেখেও না দেখার ভান করছে। আমরা কাজের নিরাপত্তা চাই। আমাদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা চাই।