দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঠিকাদার সিন্ডিকেটের সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য জি কে শামীম কারাগারে আছেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর নিকেতন এলাকা থেকে গ্রেফতার হন তিনি। ৩০ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার সহযোগীদের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ওইদিন থেকেই সংস্থার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান দল কাজ করছে।
২১ অক্টোবর শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ অক্টোবর জি কে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত। ৩ নভেম্বর কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়। ৭ নভেম্বর দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলেও জি কে শামীমকে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীম তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে যাদের নাম প্রকাশ করেন তাদের মধ্যে গণপূর্ত ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলমের নাম আছে বলে জানান দুদকের এক কর্মকর্তা।