বিমানবন্দর সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় অবস্থানরত নাইজেরিয়ান এবং আফ্রিকান নাগরিকদের একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপে নারীদের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে সখ্যতা গড়ে তুলতো। এক পর্যায়ে প্রতারকরা নিজেদের যুক্তরাজ্যের নাগরিক পরিচয় দিয়ে টার্গেট করা নারীদের উপহার পাঠানোর কথা জানাতো। পরে উপহার ছাড় করাতে টাকা পাঠানোর অনুরোধ করতো। এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল ওই চক্র।
এ ধরনের প্রতারণার শিকার এক নারী বিমানবন্দর আর্মড পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পর সকালে ফাঁদ পেতে ওই নাইজেরিয়ান নাগরিককে আটক করা হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থেকে ওই নারী কাস্টমস থেকে উপহার ছাড় করানোর জন্য ৫০ হাজার টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠায়। আজ দ্বিতীয় কিস্তি নিতে আসলে বিমানবন্দরে হাতে নাতে আটক হয় নাইজেরিয়ান নাগরিক জশুয়া।
আটক জশুয়া বাংলাদেশ হাইকমিশন নাইরোবি থেকে ১৫ মাসের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে ৬ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে ঢাকায় আসে। সে বসুন্ধরাতে থাকে বলে জানায়, যদিও ইমিগ্রেশন থেকে জানা যায়, তার বাংলাদেশের ঠিকানা মিরপুরের পল্লবীতে। তাকে নিয়ে বসুন্ধরাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারণা করে আদায় করা ৪৫ হাজার টাকা এবং প্রতারণায় ব্যবহৃত স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।
আলমগীর হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে প্রতারিত নারী বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলা করছেন।