ছুটির দিনের আমেজ নেই বইমেলায়

বইমেলা

দেখতে দেখতে ২০ দিন পার করেছে অমর একুশে গ্রন্হমেলা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দ্বিতীয় দিন। অন্যান্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে বইমেলায় যে পরিমাণ মানুষের আনাগোনা থাকে সে তুলনায় শনিবার তেমন ভিড় দেখা যায়নি। এদিন বিকালে ঘুরে দেখা যায়, মেলা প্রাঙ্গণ অনেকটাই খালি। একুশে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলায় যে পরিমাণ ভিড় ছিল, তার অর্ধেকও ছিল না শনিবারে। কিছুটা ভিড় দেখা গেছে শিশুচত্বরে। তবে এদিন যারা মেলায় এসেছেন, তাদের অনেককেই বই কিনতে দেখা গিয়েছে। প্রকাশরা বলছেন, একুশে ফেব্রুয়ারির পর থেকে যারা মেলায় আসেন, তারা মূলত বই কিনতেই আসেন। বিক্রি মোটামুটি ভালোই।

মেলায় লোকসমাগম কম নিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল নোমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যারা ভ্রমণপ্রিয় এবং উৎসবপ্রিয় তারা শুক্রবারে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মেলা ঘুরে গিয়েছেন। আজ যারা মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছেন তাদের অনেকেই মূলত বই কিনতে এসেছেন।

বইমেলা

সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলেন, অন্যান্য শনিবারের তুলনায় আজকের লোকসমাগম খুব একটা কম বলে মনে হচ্ছে না। তবে বইমেলা ঘিরে চারপাশের রাস্তায় যে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, তার ফলে অনেক মানুষ মেলায় আসতে পারেননি। আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সাধারণত একুশে ফেব্রুয়ারির পর থেকে মেলায় মূলত ক্রেতারাই এসে থাকে। সে তুলনায় আজকে যারা মেলায় এসেছেন, তারা বই কিনতে এসেছেন। বিক্রি খারাপ হচ্ছে না।

মেলায় ছবি আঁকিয়ে নেওয়ার সুযোগ

প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় রয়েছে সরাসরি ছবি আঁকিয়ে নেওয়ার সুযোগ। মেলায় কথা হয় চিত্রশিল্পী রাজুর সঙ্গে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ২০০০ সালে মেলায় ছবি আঁকার কাজটি শুরু করি। আমি যখন প্রথমে কাজটি শুরু করেছিলাম তখন শিল্পীর সংখ্যা খুবই কম ছিল। এখন মেলায় অনেক শিল্পী রয়েছেন।

বইমেলা-৩

কথা হয় আরেকজন চিত্রশিল্পী এম এ আজিজের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি ২০০৭ সাল থেকে বইমেলা প্রাঙ্গণে ছবি আঁকার কাজ শুরু করেছি। সারাবছর সারাদেশের জেলা পর্যায়ের প্রতিটি মেলায় আমি অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি। একটি ছবি আঁকতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। বইমেলায়ে একটি ২২*১৬ সাইজের ছবি আঁকতে নেওয়া হয় ৪০০ টাকা। আর যদি কেউ ছবি দিয়ে পরবর্তীতে ছবি নিতে চায়, তবে সময় সাপেক্ষে আরও ভালো ও বড় সাইজের ছবির জন্য খরচ হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা।

মিরপুর থেকে সপরিবারে মেলায় ঘুরতে এসেছিলেন মনিরুল ইসলাম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরাসরি ছবি আঁকার বিষয়টি ভালো লেগেছে। তাই ছেলের ছবি আঁকিয়ে নিলাম। মূলত অন্য সময় এভাবে ছবি আঁকিয়ে নেওয়ার সুযোগটা থাকে না।