কক্সবাজারে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফতর হবে: ভূমিমন্ত্রী

২২২কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর ও এলএনজি টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় কক্সবাজারে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দফতরসহ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতখ্যাত কক্সবাজারের উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার পাওয়া এবং ফার্স্ট ট্র্যাক কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত ১০টি প্রকল্পের মধ্যে চারটি কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। এ চারটি প্রকল্প হচ্ছে— মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দোহাজারি-রামু-কক্সবাজার গুনদুম রেলপথ, গভীর সমুদ্রবন্দর ও এলএনজি টার্মিনাল। এছাড়াও বৈদ্যুতিক কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র নির্মাণ, সড়ক, ব্রিজ ও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ট্যুরিজম পার্ক স্থাপন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দফতর স্থাপন ইত্যাদি। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে কক্সবাজারে কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনেরও কাজ হচ্ছে।

এসব উন্নয়ন কাজের জন্য কক্সবাজার জেলায় খাসজমি বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি বরাদ্দের উদ্দেশ্যে ৬২টি এল.এ কেসের মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার ৫২৮ একর জমির অধিগ্রহণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যা দেশে কোনও একক জেলায় উন্নয়ন কাজের জন্যে অন্যতম বড় ভূমি বরাদ্দ। ভূমিমন্ত্রী বিভিন্ন মতবিনিময় সভায় ভূমি ব্যবস্থাপনা, অধিগ্রহণ ও জরিপ বিষয়েও কথা বলেন।

ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতিকে দেশের উন্নয়নের বাধা হিসেবে বর্ণনা করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এসব অনিয়ম কঠোর হাতে দমন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্যে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার ব্যাপারেও তিনি সবাইকে অবহিত করেন। এছাড়া, আগামী ১৭ মার্চ থেকে নামজারির জন্যে কোনও ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ না করার ব্যাপারটিও জানিয়ে দেন মন্ত্রী।