বৃষ্টিস্নাত বইমেলাতেও উপচে পড়া ভিড়

বইমেলায় বৃষ্টির মধ্যেও পাঠক ক্রেতার ঢল

আজ ২৪তম দিনে বইমেলায় বৃষ্টির হানা। মেলার আয়োজকরা বসন্তের এই বৃষ্টিকে শত্রুই ভেবে থাকেন। কেননা বৃষ্টি লাগলেই বই ভিজে যায়, মাঠে পানি জমতে পারে এবং পাঠক থাকে না। তবে মেলার ২৪ তম দিনে আজ পূর্বাভাস দিয়েও ঢাকার আকাশজুড়ে ছিল বৃষ্টির নরম পরশ। আর বইপ্রেমীরা তাকে গায়ে মাখতে চাওয়ায় বৃষ্টিযোগেই বইমেলার প্রাঙ্গণ ছিল আজ পাঠক ঠাসা।    

আজ মেলা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পাঠকরা মেলায় ঘুরছেন স্টলে স্টলে। এ সময় অনেকের মাথায় ছিল ছাতা। মেলায় আগতরা জানিয়েছেন, বৃষ্টি তাদের ভালোই লাগছে। তাই মনকে আটকে রাখতে পারেননি ঘরে।

বইমেলায় বৃষ্টির কারণে কোনও কোনও স্টলের সামনে তাঁবু বা ত্রিপল বাড়িয়ে দেওয়া হয়

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির কথা জানা ছিল বেশিরভাগ পাঠক- দর্শকদের। আশঙ্কা ছিল মেলায় পাঠক সমাগম হয়তো অন্যদিনের চেয়ে কম হবে। কিন্তু, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা আবহাওয়াও আটকাতে পারেনি বইপ্রেমী পাঠকদের।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী হাসান মাহবুব ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বইমেলাটা হচ্ছে ঐতিহ্যের। বইমেলায় আসাটা হচ্ছে চর্চার। নতুন প্রজন্মকে সেই ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই বইমেলাতে আমি আমার সন্তানদেরকে নিয়ে এসেছি। বৃষ্টি হওয়ার কথা না এই সময়ে, তাও হচ্ছে। তবে বৃষ্টি আমাদের মনকে আটকে রাখতে পারেনি। তাই পরিবার নিয়ে বইমেলায় ছুটে এসেছি।

গৃহিণী চামেলি আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বইমেলা আসার কারণটা হচ্ছে বাচ্চাদের জন্য। টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখে আমার ছেলেমেয়েরা বইমেলায় আসার ব্যাপারে খুবই ইচ্ছুক ছিল। এজন্যই  মেলায় আসা। বৃষ্টিটা সবসময়ই এমনি ভালো লাগে। বছরের প্রথম বৃষ্টি হচ্ছে, এ বিষয়টা ভালো লাগছে।

মেলা ঘুরে দেখা যায় শুরুর দিকে মানুষের আগমন কম থাকলেও বিকেল ৪টা পার হওয়ার পরপরই উল্লেখযোগ্য হারে মানুষ প্রবেশ করতে থাকে বইমেলায়। বৃষ্টিকে মেনে নিয়েই তারা মেলায় এসেছেন। এছাড়া কিছু মানুষ ছাতা ছাড়াই বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্টলে স্টলে ঘুরছেন।

এদিকে বৃষ্টি উপলক্ষে স্টলগুলোর সামনে টানানো হয়েছে অল্প করে তাঁবু। মূলত বই বাঁচানো ও পাঠক-ক্রেতাকে সে তাঁবুর নিচে দাঁড়িয়েই বই দেখছেন ও কিনছেন।