অভিজিৎ হত্যার বিচার দাবিতে মোমবাতি প্রজ্বালন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অভিজিৎ চত্বরে মোমবাতি প্রজ্বালনলেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার বিচার চেয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে ‘পূর্ব-পশ্চিম’। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অভিজিৎ চত্বরে এই মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারসাত স্টেশন চত্বরেও এদিন একই সময়ে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু মুক্তমনা ব্লগারের উদ্যোগে গঠিত ‘পূর্ব-পশ্চিম’ প্রতিবছর এভাবে অভিজিৎ রায়কে স্মরণ করে আসছে।
পূর্ব-পশ্চিমের রাকিবুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পুরো আয়োজনটা ব্যক্তিগত উদ্যোগে। এটা আমরা গত তিন বছর ধরে করে আসছি।’
পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত রেলস্টেশনে মোমবাতি প্রজ্বালনতিনি আরও বলেন, “২০১৫ সালের প্রতিমাসে একটি-দুটি করে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তখন প্রকাশক দীপনকেও হত্যা করা হয়। সেসময় তার বাবা বলেছিলেন, ‘বিচার চাই না, শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’ পাঁচ বছর পরও সেসব হত্যাকাণ্ডের একটারও বিচার পাচ্ছি না। এখন আমাদের সেই কথাই বলতে হবে, ‘শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’”
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অ্যাক্টিভিস্ট অপরাজিতা সঙ্গীতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা চাই অভিজিৎ হত্যার সঠিক বিচার হোক।’
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায় দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন। এ ঘটনায় বন্যাও গুরুতর আহত হন। পরে অভিজিতের বাবা অজয় রায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং পরে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) তদন্ত করে। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিটিটিসি।