মেলা প্রাঙ্গণে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে কথা হয় কথা সাহিত্যিক আনিসুল হকের সঙ্গে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মুজিববর্ষকে সামনে রেখে একটা সুন্দর বই মেলা করলাম আমরা। মেলায় বিক্রি খুব ভালো হয়েছে। এ সময় আমরা আনন্দের মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করি। আমাদের একটা আড্ডার জায়গা এটা। পহেলা মার্চ থেকে বিকালে আমাদের আর কোনও কাজ থাকবে না। অপেক্ষায় থাকবো আগামী বছরের জন্য।’
কথা সাহিত্যিক স্বকৃত নোমান বলেন, ‘আমরা যারা লেখালেখির সঙ্গে আছি—১১ মাস অপেক্ষা করি ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য। ১১ মাস লেখক তার শিল্পকর্ম তৈরি করেন এবং সেটা এই ফেব্রুয়ারিতে পাঠকের সামনে তুলে ধরেন। একজন কথা সাহিত্যিককে সব সময় টেবিলেই বসে থাকতে হয়, বইয়ের সঙ্গে থাকতে হয়। তাই পাঠকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগটা হয় না। এই বই মেলাতে পাঠকের সঙ্গে তার যোগাযোগ ঘটে। শুধু ঢাকা থেকে নয়, ঢাকার বাইরে থেকেও লেখকরা বই মেলায় আসেন। এই মেলাতেই লেখকদের সঙ্গে লেখকদের সখ্য গড়ে ওঠে। সাহিত্য-সংস্কৃতি-শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এটা লেখক সমাজের জন্য আনন্দদায়ক। লেখকদের জন্য বইমেলা একটা অনুপ্রেরণার জায়গা।’
কবি অলকা নন্দিতা বলেন, ‘বই মেলা উপলক্ষে অনেক দিনের পরিচিত বন্ধুদের দেখা পাই। মেলায় যারা বই বের করেন- ভবিষ্যতে করবেন তারাও আসেন। এ জন্যই এই মেলাকে মিলনমেলা বলছি। এই আড্ডা দেওয়ার জায়গাটা যখন ১১ মাসের জন্য হারিয়ে যায়, তখন একটু খারাপই লাগে।’
কবি সাখাওয়াত টিপু বলেন, ‘বই মেলার সময়টা আরেকটু ছোট হলে আনন্দটা আরও বেশি থাকতো। মূলত মেলায় বিক্রি হয় শেষ ১৫ দিন। এই সময়টাতে আমরা ব্যস্ত থাকি বেশি।’