একুশের বইমেলাকে গিনেস রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত করা হবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

a5e879b0f8166edf19aeff939d06a6cf-5e46f4b5c1c4cএকুশের বইমেলা সময়কাল ও দর্শক বিবেচনায় পৃথিবীর বৃহত্তম বইমেলা বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, ‘মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত বইমেলায় প্রায় কোটির ওপরে লেখক-পাঠক ও দর্শকের আগমন ঘটে। তবে এ সংখ্যার আনুষ্ঠানিক কোনও হিসাব নেওয়া হয় না। আগামী বইমেলা থেকে সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করে পৃথিবীর বৃহত্তম বইমেলা হিসেবে এটিকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

079fab8f41418cea9d88da47858b4642-5e3ef549a7b65খালিদ বলেন, গ্রন্থমেলার চেয়ে বইমেলা শব্দটি বেশি হৃদয়গ্রাহী, চিত্তাকর্ষক, আপন ও সর্বজনীন মনে হয়। তাছাড়া দীর্ঘকাল থেকে বইমেলা শব্দটি প্রচলিত এবং প্রধানমন্ত্রীও অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্বোধনের সময় এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেজন্য আগামী বছর থেকে ‘অমর একুশে বইমেলা’ নামে এ মেলার নামকরণ করা হবে। আমরা চাই শুধু ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করেই নয়, বছরব্যাপী লেখালেখির চর্চা হোক এবং মানসম্মত বই প্রকাশিত হোক।

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। মেলার প্রতিবেদন পাঠ করেন মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ।


আরও পড়ুন:
পর্দা নামলো বইমেলার, অপেক্ষা ১১ মাসের