যেখানে-সেখানে কফ থুথু ফেলা নিষিদ্ধ করার দাবি

যেখানে-সেখানে কফ থুথু ফেলা বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের মানববন্ধন

কফ, থুথু, হাঁচি কাশির মাধ্যমে করোনা ভাইরাসসহ সার্চ, মার্স, যক্ষ্মা, শ্বাসকষ্ট, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি বা অ্যাজমা, কাশি, মাথাব্যথার মতো বহু রোগের বিস্তার ঘটে। তাই সবাইকে সেখানে-সেখানে কফ থুথু ফেলার বদ অভ্যাস পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছে কয়েকটি পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠন। পাশাপাশি আইন করে যত্রতত্র কফ থুথু ফেলা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।

রবিবার (৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), বারসিক নামের সংগঠনগুলো।

‘কফ থুথু করোনা ভাইরাসসহ বহু রোগ ছড়ায়: কফ থুথু যত্রতত্র ফেলা বন্ধ কর’ শিরোনামে আয়োজিত এই মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা সাধারণ মানুষের উদ্দেশে এই আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, যেখানে সেখানে কফ থুথু ফেলা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি বয়ে আনে। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় জনসমক্ষে থুথু ফেলাকে। যেখানে সেখানে যখন তখন কফ থুথু ফেলা শুধু বদ অভ্যাসই নয় এর কারণে আর্থিক ও সামাজিকভাবে একটা দেশ অনেক ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

বক্তারা আরও বলেন, যেহেতু থুথু বা কফ ভেজা অবস্থায় থাকে সেক্ষেত্রে ভাইরাসটি জীবিতও থাকে অনেক বেশি সময়। এর ফলে সরাসরি বাতাসের সংস্পর্শে এসে থুথু ও কফ থেকে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। যত্রতত্র থুথু ফেলা নিষিদ্ধ করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এমনকি ভারতেও কিছু এলাকায় আইন হয়েছে এবং জরিমানারও বিধান রয়েছে। বাংলাদেশে এধরনের আইন নেই এবং সচেতনতা তৈরিরও কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না। বাংলাদেশের অনেক সমস্যার মাঝে যেখানে সেখানে থুথু ফেলাটা হয়তো সামান্য মনে হতে পারে কিন্তু এই সমস্যাটির সমাধান বিনামূল্যেই করা সম্ভব। এজন্য শুধু প্রয়োজন একটু সচেতনতা।

এসময় কিছু সুপারিশ তুলে ধরে তারা বলেন, যত্রতত্র থুথু ফেলা নিষিদ্ধ করে আইন এবং জরিমানা করার বিধান রাখতে হবে, জনগণকে যেখানে সেখানে প্রকাশ্যে কফ থুথু ফেলা বন্ধ করার বিষয়ে সচেতনতামূলক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, কফ থুথু যেখানে সেখানে না ফেলে রাস্তার পাশে ডাস্টবিনে ফেলতে উৎসাহিত করতে হবে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা এবং সরকার কর্তৃক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষের ভেতর তৈরি হওয়া আতঙ্ক কমিয়ে এই ভাইরাস প্রতিরোধে সম্মিলিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এবং নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ ও সেভ দ্য রিভার এর সদস্য শাকিল রহমান, পুরনো ঢাকা পরিবেশ উন্নয়নের সভাপতি হাজী আনসার আলী, পরিবেশ উন্নয়ন উদ্যোগ সভাপতি নাজিমউদ্দিন, সদস্য জি এম রুস্তম খান, নাসফ এর সহ সভাপতি কে এম সিদ্দীক আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বারসিক এর সমন্বয়কারী সুদীপ্তা কর্মকার প্রমুখ।