ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি-কর্মীদের ওপর হামলা

রূপনগর বস্তিতে আগুন

ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ও পাইপে পানি না থাকার অভিযোগ এনে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভাঙচুর ও কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে একদল যুবক। মিরপুরের রূপনগর বস্তিতে আগুন লাগার পর বুধবার (১১ মার্চ) বেলা ১০টার দিকে ‘ট’ ব্লকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী আহত  হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে আহত  ফায়ার কর্মীর নাম পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন  জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণের এক পর্যায়ে বস্তির ৩৮ নম্বর রোডে অবস্থান নেওয়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে থাকা পানি শেষ হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হন উপস্থিত জনগণ। তারা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আক্রমণ করে। লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। কয়েকজন ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে গাড়ি রেখে অন্যত্র সরে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

তীব্র পানি সংকট আর বাতাসের তীব্রতার কারণে রূপনগর বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আসতে আমাদের বিলম্ব হয়নি। আগুন লাগার পর বস্তিবাসীরা বিভিন্ন আসবাব দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছিল। যে কারণে আমাদের গাড়ি ঢুকতে বাধাগ্রস্ত হয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রচুর পানি সংকট ছিল, যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে। প্রাকৃতিক জলাধার না থাকায় বরাবরের মতো পানি সংকটে পড়তে হয়েছে। আশে-পাশের বিভিন্ন ভবনের রিজার্ভ ট্যাংক থেকে পানি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। তাছাড়া ফাঁকা জায়গায় তীব্র বাতাস থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বেগ পেতে হয়েছে। এরপরেও ২৫টি ইউনিটের সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে ডাম্পিংয়ের কাজ অব্যাহত আছে।’

হামলার প্রসঙ্গে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বস্তিবাসী ফায়ারের গাড়ি ঢুকতে বাধা দেয়। তারা ফায়ার কর্মীদের ওপরে ও গাড়িতে আক্রমণ করে। এটা ঘরহারা বস্তিবাসীর আবেগ থেকে করেছে বলে মনে করি। ধৈর্যের সঙ্গে এবং র‌্যাব- পুলিশের সহায়তায় বস্তিবাসীদের বুঝিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করা হয়।’

আরও পড়ুন:

রূপনগর বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়লো কয়েকশ’ ঘর