র‌্যাবের নজরদারিতে বিদেশফেরতরা

 

র‌্যাব

দেশে করোনা ভাইরাস যাতে সংক্রমিত হতে না পারে তাই বিদেশফেরত সবাইকে অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে এই নির্দেশনা প্রবাসীদের অনেকে মানতে না চাওয়ার অভিযোগ পাওয়ায় জন মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এসব বিদেশফেরত নাগরিককে নজরদারিতে রেখেছেন।  তাদের আইনের আওতায় আনতে অন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীগুলো এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে। তাদের সঙ্গে প্রয়োজনে মাঠে নামবে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় র‌্যাব সদর দফতরে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।

হোম কোয়ারেন্টাইন প্রসঙ্গে মাঠপর্যায়ে র‌্যাব কী উদ্যোগ নিয়েছে বা নিচ্ছে জানতে চাইলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘বিদেশ ফেরত নাগরিকদের অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা উচিত। এটি অবশ্যই যৌক্তিক বিষয়। তবে এখনও আমরা এমন কোনও আদেশ পাইনি। অপেক্ষায় রয়েছি, আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অবস্থান তুলে ধরবো। যারা কোয়ারেন্টিনে থাকার আদেশ মানছেন না, তাদেরকে আইনে আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

তিনি বলেন, বিদেশফেরত নাগরিকদের একটি পরিসংখ্যান আমাদের কাছে রয়েছে। যারা বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি র‌্যাবও তাদের নজরদারিতে রেখেছে। আমরা এখনও অনগ্রাউন্ডে জেল-জরিমানায় যাইনি, তবে সবাই নজরদারিতে রয়েছেন।

বাজার নিয়ন্ত্রণ ও গুজব প্রতিরোধে র‌্যাব মাঠে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা আতঙ্কের পরপরই বাজারে মাস্ক-স্যানিটাইজারের দাম বেড়ে গিয়েছিল। আমরা এসব বাড়তি দাম আদায়কারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনা ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর দায়ে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। দেশজুড়ে র‌্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন এলাকাতেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে বিষয়গুলো মনিটরিং করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।