এক লাখ কিট এবং ১০ লাখ পিপিই সংগ্রহ করা হচ্ছে

 

করোনা কিট ও পিপিইদেশে করোনা রোগী শনাক্তে এক লাখ কিট এবং চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের জন্য ১০ লাখ পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এসব উপকরণ সংগ্রহ হলে কোনও সেবাকেন্দ্রে পিপিইর কোনও অভাব হবে না বলে দাবি করেছে অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০০ পিপিই দেওয়া হয়েছে, সিএমএসডি (সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরস ডিপো) ১০ হাজার পিপিই সংগ্রহ করেছে। একইসঙ্গে আজকে দুই হাজার কিট এসেছে বলেও অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার ( ১৯ মার্চ) কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।

চিকিৎসকরা হাসপাতালে তাদের নিরাপত্তার জন্য পিপিই নেই বলে অভিযোগ করেছেন এবং সুস্পষ্ট মন্তব্য কী জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এটা জাতীয় দুর্যোগ, সেবা দিতে হবে। তবে একইসঙ্গে বলবো, পিপিই সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছি। কাউকেই পরামর্শ দেবো না, নিরাপত্তা ছাড়া রোগীদের সেবা করার জন্য। তাদের নিরাপত্তার যেসব জিনিস লাগবে সেগুলো আমরা সরবরাহ করছি।’

তবে আমরা একসঙ্গে তিন মাসের মজুত দিতে পারবো না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সাপ্তাহিক ভিত্তিতে যা দরকার, সে সব উপকরণ সরবরাহ করা হবে।’

তিনি বলেন, চীনকে আমরা অনেকগুলো পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড কাভার, ক্যাপ) দিয়েছি। চীনও আমাদের অনেকগুলো রিএজেন্ট দিয়েছে এবং আরও দেবে। আমরা চেষ্টা করছি চীন থেকে পিপিই নিয়ে আসতে। কাল অথবা পরশুই এটা চলে আসবে এবং এ সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষা কেবলমাত্র আইইডিসিআরেই সীমাবদ্ধ রাখা হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নমুনা পরীক্ষার জন্য আজকে দুই হাজার কিট এসেছে। আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যখন প্রয়োজন হবে তখন আইইডিসিআরের বাইরেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষার সুবিধা সম্প্রসারণ করবো। তবে মনে রাখতে হবে, সব জায়গাতে এ সরবরাহ সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে না। আমরা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবো, ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে এই পরীক্ষা সম্প্রারণ করা হবে, কেবলমাত্র বরিশাল বিভাগ ছাড়া প্রতিটি বিভাগে এ পরীক্ষা করার সুবিধা রয়েছে এবং ১৬টি অতিরিক্ত পিসিআর মেশিন সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিএমএসডিকে, তার মধ্যে সাতটি ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। ব্যাকআপ সাপোর্ট নেওয়ার জন্য সব জায়গায় অতিরিক্ত পিসিআর মেশিন রাখা হবে বলে জানান তিনি।