করোনা পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দফতর ও অধিদফতরকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের এই করোনা পরিস্থিতিতে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের যথাযথ ভূমিকা পালন করা ছাড়াও এ সময় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিদেশফেরত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রশাসনকে নিরাপত্তা সহায়তাসহ এই লক্ষ্যে পরিচালিত মোবাইল কোর্টকে সহযোগিতা দিতে হবে।

খেটে খাওয়া দিনমজুর কিংবা অসহায় এবং অসচ্ছল ব্যক্তি যারা অর্থের অভাবে খাবার কিনদে পারছেন না, তাদের খাবার সামগ্রীসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করতে হবে। দেশের সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানসহ বৈধ ও অবৈধ পন্থায় করোনা রোগী যাতে দেশের ভেতরে ঢুকতে না পারে সেই দিকে সংশ্লিষ্টদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। এছাড়াও দেশের নৌপথে বৈধ ও অবৈধ পন্থায় যাতে কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ঢুকতে না পারে সেজন্য টহল অব্যাহত রয়েছে।

সারাদেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন সব আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সারা দেশে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত অব্যাহত রাখতে হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পুলিশ তার নিজস্ব বাহিনীর সদস্যদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাক্স ও পিপিইসহ নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছে।

জনগণ যাতে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হয়, সেজন্য মানুষকে সচেতন করা এবং হ্যান্ড মাইকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূলক তথ্য প্রদান করা হচ্ছে।

জলকামান এর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী জীবাণু নাশক ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। দেশের রোহিঙ্গা অঞ্চলগুলোতে যাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হতে না পারে সে ব্যাপারে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যহত আছে।