বর্তমানে করোনাভাইরাস বিশ্বের ২০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। তাই, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ রয়েছে সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস, সীমিত আকারে চলছে ব্যাংকগুলো। এই জরুরি সেবার মধ্যে অন্যতম ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ। গ্রাহকদের ২৪ ঘণ্টা টাকা উত্তোলণের সুবিধার্থে চালু রয়েছে এটিএম সেবা। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ব্যাংকগুলোর প্রতিটি এটিএম বুথে রয়েছেন একজন করে নিরাপত্তাকর্মী। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সরকারের আহবানে দেশবাসী হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলেও সেই সুযোগ নেই তাদের। নিরাপত্তার স্বার্থে সবসময়ই থাকতে হচ্ছে বুথ পাহাড়ায়।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, জিগাতলা, কলাবাগান, মিরপুর রোড, কারওয়ান বাজার এলাকার বুথগুলো ঘুরে দেখা যায়, সেখানের নিরাপত্তাকর্মীরা করোনাভাইরাস বিষয়ে খুব একটা সচেতন না। আর নিরাপত্তাকর্মীদের বেশিরভাগেরই বয়সই পঞ্চাশোর্ধ। তারা মনে করেন, এই ভাইরাস তাদের খুব একটা কিছু করতে পারবে না। এসময় অনেকের মুখে মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস দেখা যায়নি। ব্যাংকগুলো হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিলেও ব্যবহারের ব্যাপারে অজ্ঞ ও উদাসিন। এদিকে বেশির ভাগই ঢাকায় বিভিন্ন মেসে থাকেন। সবকিছু বন্ধ থাকায় তারা নিয়মিত খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন।
আরেক নিরাপত্তা কর্মী হানিফ জানান, ‘কি এক ভাইরাসের জন্য আমগো স্যার একটা মুখোশ দিছে। মুখোশ পড়লে, নাক ঢাকলে মুখ ঢাকে না। ছুড মুখোশ। পরে আমি একডা নিজের টেকা দিয়া কিনছি। ব্যাংক থিকা একটা বোতলও দিছে, হাতে মাখবার কইছে।’
জিগাতলার রাইফেল স্কয়ারে এক সঙ্গে রয়েছে ১০টি ব্যাংকের বুথ। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে তাদেরও নেই কোনও সুরক্ষার চিন্তা। ব্যাংক বা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কিছু দেয়নি বলে অভিযোগ করেন অনেকে। অন্যান্য সময়ের মতো তাদের সাধারণভাবেই চলতে দেখা যায়।
এদিকে সিকিউরিটি কোম্পানিগুলো বলছে, তারা কর্মীদের হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক দিচ্ছে। বাকি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়োগপ্রাপ্ত কোম্পানি দিচ্ছে। আর তাদের সবসময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে কন্ট্রোল রুম থেকে।
অরিয়ন সিকিউরিটি সর্ভিসেস লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল হাসানও একই কথা জানালেন। তারা শুধু হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক দিয়েছেন নিরাপত্তাকর্মীদের।