গার্মেন্ট মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির

টিআইবিকরোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি ছুটি চলাকালে ‘চাপের মুখে’ শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে বাধ্য করায় পোশাকশিল্প মালিকদের তীব্র সমালোচনা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। রবিবার (৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মালিকপক্ষের এই অবিবেচনাপ্রসূত ও স্বার্থপর আচরণে অসংখ্য শ্রমিক এবং কার্যত গোটা দেশই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েছে।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অবস্থাদৃষ্টে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, সরকারের ভেতরে নানা স্বার্থান্বেষী মহল কি এই জাতীয় দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে সরকারকেই জিম্মি করে অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ে সক্রিয় রয়েছে? প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, এই স্বার্থান্বেষীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নিন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে সরকার ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে দিল। আগামী দুই সপ্তাহ সময়কে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে যখন সব ধরনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে, উৎপাদিত পণ্যও রফতানির সুযোগ নেই বললেই চলে, সে পরিস্থিতিতে কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শ্রমিকদের কর্মস্থলমুখী করে তাদের এবং কার্যত পুরো দেশকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়াটা চরম স্বার্থপরতা। এর দায় কারখানা মালিক থেকে শুরু করে মালিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এড়াতে পারে না।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক পোশাকশিল্প মালিককে উদ্ধৃত করে খবর বেরিয়েছে যে, সরকারের ঘোষিত তহবিল, অনুদান না হয়ে সহজ শর্তে ঋণ হওয়ায় মালিকপক্ষ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। শ্রমিকের জানমালের নিরাপত্তা তথা পুরো দেশকে এভাবে জিম্মি করে দরকষাকষির হাতিয়ার বানানোর এই ঘৃণ্য পদক্ষেপের যথেষ্ট সমালোচনা করার মতো ভাষাও খুঁজে পাচ্ছিনা।
বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট খাতের ও অন্যান্য মন্ত্রী এবং জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই পোশাকশিল্প মালিক হওয়ার পরও তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং শ্রমিকের স্বার্থ সুরক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন।