হটলাইনে ফোন, ১২৪৬ পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে ডিএসসিসি

ডিএসসিসির ত্রাণ কার্যক্রমে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন

করোনাভাইরাসের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে-খাওয়া মানুষের জন্য বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এজন্য পৃথক দুটি হটলাইন নাম্বার চালু করে সংস্থাটি। এতে খাদ্যসামগ্রী সহায়তা চেয়ে ফোন করা নগরবাসীদের বাসায় খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, গত ২৮ মার্চ মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন কর্মহীন হয়ে পড়া ৫০ হাজার নগরবাসীকে এক মাস বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, লোকলজ্জায় যারা এসব খাদ্যসামগ্রী নিতে লাইনে দাঁড়ানো বা কাউন্সিলর অফিসে আসতে অনীহা প্রকাশ করেন তাদের জন্য আমাদের হটলাইন সেবা চালু থাকবে। তারা আমাদের হটলাইনে ফোন করে সহায়তা চাইলে আমরা বাসায় বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিবো।
মেয়রের এমন ঘোষণার পর দিনই পৃথক দুটি হটলাইন নাম্বার চালু করে ডিএসসিসি। গত ২৯ মার্চ থেকে আজ ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনে খাদ্যসামগ্রী চেয়ে ডিএসসিসির হটলাইনে ৮ হাজার ১৫২টি ফোন আসে। এর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুই হাজার ৩৩টি ফোনকল চূড়ান্ত করা হয়। বাকিগুলো ডিএসসিসির আওতাভুক্ত না হওয়ায় এ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ২৪৬টি পরিবারের বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭৮৭টি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জানতে চাইলে ডিএসসিসির সিস্টেম এনালিস্ট আবু তৈয়ব রোকন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মেয়রের নির্দেশে আমরা দুটি হটলাইন নাম্বার চালু করেছি। এতে খাদ্যসামগ্রী চেয়ে নগরবাসী আমাদের কাছে ফোন করছেন। আমরা যাচাই-বাছাই করে তালিকা চূড়ান্ত করছি। প্রতিদিন আমাদের নিজস্ব লোকবল দিয়ে তাদের বাসায় বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পুরো বিষয়টি মেয়র সাঈদ খোকন নিজেই তদারকি করছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যারা প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে বা কাউন্সিলর অফিস থেকে খাদ্যসামগ্রী নিতে অস্বস্তি বোধ করেন প্রধানমন্ত্রী তাদের তালিকা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলেছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা হটলাইন চালু করেছি। যারা ফোন করছেন আমরা তাদের বাসায় আজ থেকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।