সংগঠনটির অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ডাক্তাররা যখন দারুণভাবে মনঃক্ষুণ্ন, হতাশ ও অরক্ষিত, ঠিক তখনই সরকার ঘোষণা দিলো, ‘যেসব চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন না, ভবিষ্যতে তারা চাকরি করতে পারবেন কিনা, তা ভাবা হবে।’ এমনকি দেশপ্রেমের সর্বনিম্ন বহিঃপ্রকাশটিকে জলাঞ্জলি দিয়ে বলা হলো, প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে দেশের মানুষকে সেবা দেওয়া হবে। ডাক্তারদের ন্যায্য দাবির বিপরীতে তাদের ডাক্তারির লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার মতো হুমকি দিতেও কার্পণ্য করা হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চীনের উহান প্রদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর, যথেষ্ট সময় হাতে পেলেও সরকার চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় পিপিই সরবরাহের বিষয়ে চরম উদাসীন ছিল। এর ওপর, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে একের পর এক বিমাতাসুলভ নির্দেশনা প্রচারিত হয়েছে ডাক্তারদের আত্মসম্মান ও মর্যাদার ওপর আঘাত করে। কখনো বলা হয়েছে নিজ নিজ সুরক্ষা সরঞ্জামাদি নিজেকে যোগাড় করতে; অথচ বাজারে সেসব সামগ্রীর সরবরাহ ছিল না। এরপর রোগীদেরকে উস্কানিমূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কোনও অভিযোগ থাকলে যেন তা তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী বা ওসিকে অবগত করা হয়। ডাক্তারদের প্রতিবাদের মুখে পরে অবশ্য এসব বিজ্ঞপ্তি বাতিল করতে বাধ্য হয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
ড্যাব মহাসচিব করোনা মকোবিলায় সরকারকে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথ থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশের প্রতিটি চিকিৎসকের ১০০ ভাগ নিরাপত্তা, সরকারের সর্বমহল থেকে সহযোগিতা ও ঝুঁকিভাতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।