তারাবির জামাতে ১২ জনের একজন হওয়ার চেষ্টা মুসল্লিদের

ভেতরে ঢুকতে না পেরে আল্লাহ করিম মসজিদের সিঁড়িতে তারাবির নামাজ পড়ছেন কয়েকজন মুসল্লি

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশের আকাশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এ অনুসারে শনিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র সিয়াম সাধনার রমজান মাস।রমজান মাসে এশার নামাজের পর তারাবির নামাজ পড়া হয়। তবে এবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মসজিদে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও দুই জন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন এশা ও তারাবির নামাজ পড়ার বিধি আরোপ করেছে সরকার।এই বিধি আরোপের পর অনেকেই ১২ জনের একজন হয়ে জামাতে তারাবির নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছেন। যদিও বেশির ভাগ মুসল্লিকে ফেরত আসতে হয়েছে।তবে কেউ কেউ মসজিদের বাইরেই নামাজে অংশ নিয়েছেন।

শুক্রবার এশার আজানের পর অনেক মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়, মসজিদের না এসে মুসল্লিদের বাসায় তারাবির নামাজ আদায় করতে।তারপরেও  কোনও কোনও এলাকায় কিছু মুসল্লি মসজিদে জামাতে শরিক হতে গেলে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন।

মসজিদের ভেতরে তারাবির জামাত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্টান্ড সংলগ্ন আল্লাহ করিম মসজিদ। বেশ কিছু মুসল্লিকে আজানের পর মসজিদটির সামনে জড়ো হতে দেখা যায়।তাদের মধ্যে কেউ কেউ মসজিদের ভেতরে থাকা খাদেমকে অনুরোধ করেন প্রবেশের সুযোগ দিতে। তারা অনুরোধ করে বলেন, সরকার ১২ জনের অনুমতি দিয়েছে, তারা ১২ জনের মধ্যেই থেকে অংশ নিতে চান। কিন্তু খাদেম ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় অনেকেই ফিরে যান।তবে কয়েকজন গেটের বাইরে সিঁড়িতেই নামাজে দাঁড়িয়ে যান।

আল্লাহ করিম মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আসাদুল ইসলাম নামে একজন।তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর তারাবির নামাজ মসজিদে পড়েছি, এ বছর পড়তে পারবো না তা হতে পারে না। আর সরকার তো ১২ জনের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু মসজিদ খুললো না।’

এর আগে সরকার ৬ এপ্রিল এক আদেশে মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছে।তখন, মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম,মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ অনধিক পাঁচ জন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হওয়ার বিধান করা হয়। যদিও সে সময়ও অনেক মুসল্লি জুমার নামাজে শরিক হতে মসজিদে গিয়ে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরেই দাঁড়িয়েছেন।

এদিকে রাজধানীর শুক্রাবাদ জামে মসজিদেও দেখা গেছে একই চিত্র।  বেশ কিছু মুসল্লি মসজিদের সামনে এসে ফিরে  গেছেন। দু-একজন মসজিদের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে জামাতে শরিক হয়েছেন।

এ মাসে তারাবির নামাজে সম্পূর্ণ কোরআন শরিফ একবার খতম করার রেওয়াজ প্রচলিত আছে। তারাবি নামাজ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা।