খাগড়াছড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ঠেকাতে আ.লীগ-বিএনপি-ইউপিডিএফের জোট!

খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. রফিকুল আলমকে ঠেকানোর জন্য আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইউপিডিএফ একযোগে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ করেন খাগড়াছড়ি জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি হাজী লিয়াকত আলী চৌধুরী। মঙ্গলবার বিকেলে নাগরিক কমিটি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রফিকুল আলমের প্রধান নির্বাচনি ক্যাম্পে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. শানে আলম, বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু ও ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী কিরন মারমার সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিন প্রার্থী একত্রিত হয়ে নাগরিক কমিটির প্রার্থী রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে মিথ্যাচার চালাচ্ছে। মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগ দিয়ে তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে।

তিনি এসময় বর্তমান মেয়র মো. রফিকুল আলমের বিগত পাঁচ বছরের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, মেয়র হিসেবে তিনি ১০০ কোটি টাকার ওপরে কাজ করেছেন। শহরের প্রতিটি রাস্তা, অলি-গলির উন্নয়ন হয়েছে, পানি সমস্যার সমাধান হয়েছে, শান্তি-শৃংখলার পাশাপাশি সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি স্থাপিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভা আজ দেশে মডেল পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়েছে। ৫ বছর পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পৌর নাগরিক সেবা, এ শহরকে একটি পর্যটন বান্ধব, উন্নয়নমুখী ও আয় বাড়ানোসহ যে সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে তা বিগত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পন্থী ৪ মেয়র করতে পারেননি।

তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানান।

নাগরিক কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী শিবু শংকর দেব, স্বপন চন্দ্র দেবনাথ, আমীন শরীফ, হাজী রফিক, অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমিনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা জানান এসব পাগলের প্রলাপ, এসব বলে আর জয়লাভের কোনও সুযোগ নেই।

জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা বলেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক অথবা আদর্শগত মিল নেই। একজোট হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

জেলা ইউপিডিএফের প্রচার সম্পাদক নিরন চাকমা বলেন তাদের কারও সঙ্গে জোট হয়নি। বর্তমান মেয়র কতোটা ভালো করেছেন, তা ৩০ তারিখের নির্বাচনে প্রমাণ হবে।

/জেবি/টিএন/