সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইফতারের কিছুক্ষণ আগে ১১-১২ জন মানুষ দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে এসে কম সময়ের মধ্যেই আমাদের কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই দিদারকে দুটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও সিসি ক্যামেরাসহ নিয়ে যায়। তারা বলে, “আমরা কিছু কথাবার্তা বলেই তাকে ছেড়ে দেবো।” ইফতারের ঠিক দুই মিনিট আগে ওকে গাড়িতে তোলা হয়। আমার একটাই প্রশ্ন, ও কোনও অপরাধী না, তাহলে কেন ইফতারের সময় একজন নাগরিককে ইফতার করতে না দিয়ে এভাবে নিয়ে যাওয়া হবে?’
দিদারকে ফেরত চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অতি দ্রুত আমার স্বামী দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়ার মুক্তি চাই এবং মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। আমি চাই অতি দ্রুত যেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমার আর বলার কিছু নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘সাদা পোশাকে কাউকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়াকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটা প্রমাণের অনুরোধ করছি। তাকে পুলিশ ও আদালতের কাছে সোপর্দ করার অনুরোধ করছি।’
পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) রাত ১০টায় আমরা বাংলাদেশের সাধারণ বুদ্ধিজীবী নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে অনলাইন প্রতিবাদ সমাবেশ করবো। আজ রাতের মধ্যে যদি তাকে ফেরত দেওয়া না হয়, আমরা তাহলে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় মানববন্ধন করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দিদারের বড় সন্তান দীপ্ত ইসলাম।
আরও পড়ুন: র্যাব পরিচয়ে ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র দিদারকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ