রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে

ড. আনিসুজ্জামাননন্দিত শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে শুক্রবার (১৫ মে) সকাল ১০টার দিকে ড. আনিসুজ্জামানের মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। ড. আনিসুজ্জামানের ছেলে আনন্দ জামান বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক  হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ড. আনিসুজ্জামান। মৃত্যুর আগে ও পরে তার শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। সে কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে। তার দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে আল মারকাজুল ইসলাম। করোনায় মৃতদের যে প্রক্রিয়ায় দাফন করা হয় তা সবগুলো মেনেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ শিক্ষককে শেষ বিদায় জানানো হবে।

করোনা পজিটিভ আসার কারণে এই শিক্ষাবিদকে শ্রদ্ধা জানানোর অন্য সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আজিমপুরে কবরস্থ করার আগে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।

ড. আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। তিনি ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯) ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ড. কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তার গবেষণা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ২০১২ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলা একাডেমির সভাপতি ছিলেন।

মৃত্যুকাল স্ত্রী সিদ্দিকা জামান, দুই মেয়ে রুচিবা ও শুচিতা এবং একমাত্র ছেলে আনন্দ জামানসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও গুণগ্রাহীকে রেখে গেছেন।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।