৫৪ দিন ধরে অসহায়দের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন সৈকত (ফটোস্টোরি)

2শুক্রবার (১৫ মে) বিকাল বেলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে সড়কে কয়েকশ’ মানুষের ভিড়। ইফতারের সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে ক্রমেই অসহায় ও দুস্থ মানুষের এ ভিড় বাড়তে থাকে। বেলা সাড়ে ৫টায় খাবার নিয়ে বের হতেই সড়কে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে যান। একপাশ থেকে শুরু করে সবার হাতে খাবার পৌঁছে যাওয়ার পর ভাঙে লাইন। শৃঙ্খলার সঙ্গেই খাবার নিয়ে বিদায় নেন ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষগুলো। এভাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের ছিন্নমূল মানুষের হাতে দুই বেলা (ইফতার ও সেহরি) খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। শুক্রবার ছিল খাবার পৌঁছে দেওয়ার ৫৪তম দিন।

5খাবার পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে সৈকত জানান, ছিন্নমূল এ মানুষদের লাইনে আনতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিকে খাবার দিতে গিলে একজন খাবার নিয়ে দৌড় দিতো, বিশৃঙ্খলা হতো। এখন আর হয় না। খাবার নিতে আসা মানুষগুলোই নিজেরা লাইন ঠিক করেন।

10করোনার লকডাউনের শুরুর দিকেই টিএসসি এলাকায় ছিন্নমূল মানুষের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার কাজ শুরু করেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সৈকত। লকডাউন শুরুর দিকে নিজের কিছু টাকা দিয়ে খাদ্য সহায়তার কাজ শুরু করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অন্যান্য পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকায় এখন প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০০-৭০০ জন মানুষের হাতে দুই বেলা খাবার দিচ্ছেন তিনি। এছাড়া ডিএমসির বার্ন ইউনিটেও প্রতিদিন ১০০ প্যাকেট খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন সৈকত।

7শুক্রবার ইফতার বিতরণের সময় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আসা দুই ব্যক্তি সৈকতের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী ছেলের আকিকার পুরো খাসির গোশত টিএসসিতে সৈকতের কাছে দিয়ে যায়। পরে সৈকত ইফতার নিতে আসা সবাইকে সেহরিতে খাসির গোশত আর ভাত খাওয়ানোর কথা জানান।

9সৈকত বলেন, করোনার শুরুতে দুপুর ও রাতের খাবার দেওয়া হতো। এখন ইফতার ও সেহরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া রমজান মাসে প্রতিদিন অন্তত ১০-১৫ জন অমুসলিম ব্যক্তির দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

6খাবার তৈরি থেকে বিতরণে সৈকতকে সহযোগিতা করতে রয়েছে ১৫ জনের একটি দল।

4করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সৈকত।

11

 

8

1