করোনাকালে নারী ও শিশু নির্যাতন বেড়েছে ৬৫ শতাংশ

নারী নির্যাতনকরোনাকালে মাদকের ব্যবহার বৃদ্ধি ও পারিবারিক নির্যাতন বেড়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন বেড়েছে ৬৫ শতাংশ। যৌথ পর্যবেক্ষণের এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে স্টেপস ও গ্যাড অ্যালায়েন্স। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ মে) গণমাধ্যমে যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় সংগঠন দুটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ইয়ুথ ভলান্টিয়ার গ্রুপের সদস্যরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দেখতে পায় ৭ হাজার পরিবারের মধ্যে ৪ হাজার ৫৫০টি পরিবারে নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই শ্রমজীবী, নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবার। উল্লিখিত পরিবারের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ পরিবারের নারী ও শিশুরা বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পরিবারগুলোতে এ ধরনের ঘটনা ক্রমাশ বাড়ছে।

এতে আরও বলা হয়, লকডাউনের সময়ে নারীর সঞ্চিত পুঁজি বা সম্পদ বিক্রি করে পরিবার চালানোর চেষ্টা চলছে। বাধা দিলে চলে নারী নির্যাতন। পুরুষদের কর্মহীনতায় অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হয়েছে।  ঋণের টাকার মূল অংশের পুরোটাই খরচ করতে নারীরা বাধ্য হওয়ায় তাদের ছোট ছোট উদ্যোগ বাধার মুখে পড়ছে। মাদকাসক্তরা টাকা জোগাড় করতে না পারার কারণে ঘরের আসবাবপত্র বিক্রির উদ্যোগ নিলে তাতে বাধা দিলে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। খাবারের অভাব এবং পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় পারিবারিক দ্বন্দ্ব বাড়ছে। করোনাজনিত কারণে গ্রামীণ নারীরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুলগামী কন্যাশিশুদের ড্রপআউট এবং বাল্যবিবাহের হার বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে সংগঠন দুটি। করোনাকালে নারীদের অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং গর্ভপাতের ঘটনাও ঘটছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এসময় পারিবারিক নির্যাতনের ধরণগুলো হচ্ছে শারীরিক নির্যাতন, ঝগড়া, বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া, খেতে না দেওয়া, ঘরে আটকে রাখা, খারাপ ব্যবহার করা, নারীকে ত্রাণ সংগ্রহের কাজে ব্যবহার, খাবারের সংকটের কারণে শিশু-নারী নির্যাতন, অভাবের কারণে স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর, শিশু নির্যাতন, তালাক।

পর্যবেক্ষণটি গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১০ মে স্টেপস এর কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া ১৮টি জেলার ৫৪টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে প্রায় ৭ হাজার পরিবারের ওপর পরিচালিত হয়।