দুর্যোগ মোকাবিলায় বিমান বাহিনীর ২৯ হেলিকপ্টার ও ৬ বিমান প্রস্তুত




আম্পানঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিমান বাহিনীর ৬টি পরিবহন বিমান এবং ২৯টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ও ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিমান বাহিনীর বাশার ঘাঁটিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেল গঠনসহ বিমান বাহিনীর সকল ঘাঁটিতে ২৪ ঘণ্টা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য অপস্ রুম খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকা দ্রুত পরিদর্শন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন ও ত্রাণ সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিমান বাহিনীর এসকল পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিমান বাহিনীর ৬টি পরিবহন বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমান বাহিনী জাতীয় যে কোনও ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের প্রয়োজনে সহায়তা প্রদান করে আসছে। জাতীয় যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে বিমান বাহিনী জরুরি বিমান পরিবহন এবং মেডিক্যাল ইভাকোয়েশন সহায়তা প্রদান করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে ফটো ও ভিডিও চিত্র ধারণ করার জন্য বিমান বাহিনীর এমআই-১৭ সিরিজ হেলিকপ্টারে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রকৃত চিত্র তুলে আনা সম্ভব হবে এবং আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এসব ছবি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত বা আহতদের দ্রুত উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক প্রশাসন, পিডব্লিউডি ও স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য বিমান বাহিনী তার জনবল ও সম্পদসহ সর্বদা প্রস্তুত আছে।

আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা প্রদানের জন্য বিমান বাহিনী বরিশাল এয়ারফিল্ড কে ফরওয়ার্ড স্টেজিং এরিয়া হিসেবে প্রস্তুত রেখেছে। এছাড়াও, দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে প্যারাসুটের মাধ্যমে ১০০০টি উপযুক্ত প্যাকেটে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।