ঈদের ছুটিতেও আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ চলবে

শরীয়তপুরের নড়িয়ার নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমঈদের ছুটির মাঝেও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নদী তীর সংরক্ষণের কাজ চালিয়ে যাবার নির্দেশনা দিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। শনিবার (২৩ মে ) শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নদীতীর সংরক্ষণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পানে  সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চারটি এলাকায় শুক্রবার (২২ মে) থেকেই সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। আমরা আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছিলাম। এখনও তারা এলাকার জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সঙ্গে মিলে কাজ করছেন। নড়িয়াও একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এখানেও কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন। ঈদের বন্ধেও আমরা সতর্ক থাকবো।’

সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে উপমন্ত্রী শামীম  বলেন, ‘প্রায় ১৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে, যার প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার বাঁধ উপকূল অঞ্চলে। প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার উদ্যোগে ৪০ থেকে ৫০ বছরের পুরনো সব বাঁধ আমরা সুপার ডাইকে পরিণত করছি। আমাদের ১৩৯টি পোল্ডারের মধ্যে ১০টি পোল্ডারে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার  প্রকল্প চলছে এবং আরও ৬টি প্রকল্প একনেকে যাবে।’

শ্রমিক সংকটের কথা উল্লেখ করে উপমন্ত্রী শামীম বলেন, ‘করোনা সংকটের মাঝেও আমরা গত ১৯ এপ্রিল থেকে প্রায় এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৭০০ শ্রমিক দিয়ে নড়িয়াতে প্রকল্পের কর্মকাণ্ড চালু রেখেছি। বন্যা-বর্ষার হাত থেকে মানুষের নিরাপত্তার জন্য নড়িয়ার মতো সারাদেশে করোনা সংকটের মাঝেও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’

পরিদর্শন শেষে পরে সাবেক এই ছাত্রনেতা নড়িয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারের পক্ষে ২০টি মসজিদ-কবরস্থানে প্রায় ছয় লাখ ২০ হাজার টাকা বিতরণ করেন। এছাড়া, নড়িয়া শহীদ মিনার চত্বরে উপজেলার প্রায় চার হাজারের বেশি মানুষের মাঝে বাংলাদেশ আওয়ামীর লীগের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার (খাদ্যসামগ্রী) বিতরণ করেন উপমন্ত্রী।

নদী তীর সংরক্ষণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) প্রধান প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হেকিম, খুলনা শিপইয়ার্ডের প্রতিনিধি এবং বেঙ্গল গ্রুপের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।