কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার স্ত্রীর অবস্থা উন্নতির দিকে

101389303_274317767268648_5473827310698233856_nকরোনাভাইরাসে আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিএনপির সেই আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। বর্তমানে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। সোমবার (১ জুন) বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

শায়রুল কবির খান জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটির তিনবারের কাউন্সিলর খন্দকার খোরশেদ ও তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা দুজনেই ৩১ মে রাতে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তারা দুজনেই আইসিউতে আছেন, তাদের শারীরিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে, শ্বাসকষ্ট কমেছে। তারা দুজনেই দেশবাসীর কাছে তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

খন্দকার খোরশেদ আলম হাসপাতালে ভর্তির সময়েই জানান, নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তাকে স্কয়ারে ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া উইং সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ২২ মে পরিবারের পাঁচ সদস্যের করোনা পরীক্ষা করান খোরশেদ আলম। সেদিন তার স্ত্রী খন্দকার লুনার করোনা পজিটিভ আসে। এরপর আবার ২৮ মে করোনা পরীক্ষা করানোর পর তার দুই মেয়ে ও এক ছেলের রেজাল্ট নেগেটিভ এলেও কাউন্সিলর খোরশেদ আলমের পজিটিভ আসে। ২৯ মে খন্দকার লুনাকে নারায়ণগঞ্জের সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩১ মে খন্দকার খোরশেদ ও তার স্ত্রী স্কয়ারে ভর্তি হন।

শায়রুল কবির খান জানান, কাউন্সিলর খোরশেদ আলম করোনাভাইরাসের শুরু থেকেই ত্রাণ বিতরণ, করোনায় আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন হয়ে মৃতদের মরদেহ সৎকারের কাজটি করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি এই কাজে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সারা দেশে সম্মানিত হয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের খোঁজ-খবর রাখছেন বলে জানান শায়রুল কবির।

প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার টিম ৬১টি লাশ কবরস্থ ও সৎকার করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ভাই। শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট মেয়ে মরিয়ম খন্দকারের করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে।