নৌমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৫ জন সেনা কর্মকর্তার যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার করার অঙ্গীকার করে, তাদের দেশে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরেও পাকিস্তান সরকার তাদের বিচার করেনি।
বিচারের কথা উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি, ওইসব সেনা কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে আনা হবে। এদেশে তাদের সহযোগিদেরও বিচার করা হবে। তাদের কৃতকর্মের জন্য কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এই আন্দোলনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।প্রতীকী বিচারের মাধ্যমেই আমাদের এই আন্দোলন শুরু হবে। যতদিন পর্ন্ত তাদের নির্মূল করতে না পারব, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে শাজাহান খান ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর গণসংযোগ, ৩ জানুয়ারি ২০১৬ মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশ এবং ৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় মানবতাবিরোধী অপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির আদেশ বহাল ও কার্যকর করার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅবস্থান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আবেদ খান, সংসদ সদস্য শিরিন আখতার, মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, অভিনেত্রী শমী কায়সার প্রমুখ।
/এসআইএস/ এমএন এইচ/