গোসসা নিবারণী পার্কে কার পার্কিং বাড়ানোর নির্দেশ মেয়র তাপসের

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সচিবালায়, গুলিস্তান ও পুলিশ সদর দফতর এলাকার যানজট নিরসনে ওসমানী উদ্যানে স্থাপিত ‘গোসসা নিবারণী পার্কে’ কার পার্কিংয়ের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। পাশাপাশি যেকোনও উন্নয়ন কাজ পরবর্তী ‘৩০ বছরের সমস্যা’ বিবেচনায় গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১০ জুন) নগরীর ওসমানী উদ্যানের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

মেয়র তাপস বলেন, ‘ওসমানী উদ্যানের আশেপাশে সচিবালয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয় রয়েছে। ফলে এই এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা অনেক। কিন্তু নির্মাণাধীন পার্কটিতে শুধু ঘুরতে আসা মানুষের জন্য মাত্র ৩০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ এটাকে (সংখ্যা) আরও  বাড়াতে পারলে আশপাশের এলাকা গাড়িমুক্ত হয়ে যাবে। ফলে সড়কে আর পার্কিং থাকবে না।’ এসময় মেয়র পার্কের কাজ বন্ধ থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি দ্রুত গতিতে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘উদ্যানের কাজে খুবই ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। এই জায়গাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি পরিদর্শনে এসেছি। পার্কের বিষয়ে কিছু দিক নির্দেশা দিয়েছি। বিভিন্ন স্থান থেকে এসে মানুষ যাতে এখানে নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। তারা যেন দ্রুত পার্কের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে পারেন, সজুব উপভোগ করতে পারেন— সেই সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এই পার্কটি আমরা গড়ে তুলতে চাই।’

জোনভিত্তিক লকডাউনের বিষয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘সরকার আমাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। আমরা আমাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছি। আমরা এখনও কোনও প্রজ্ঞাপন পাইনি। সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করবো। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যপরিধি কী হবে, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে প্রজ্ঞাপনে পেলে আমরা কাজ শুরু করবো।’

লকডাউন বাস্তবায়নে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কতটুকু প্রস্তুত, এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ‘সেটা নির্ভর করে আমাদের ওপরে দায়িত্ব কতটুকু দেওয়া হবে। আমাদের মাঠ পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। আমরা তাদেরকে কাজে লাগাতে পারবো। কিন্তু সেটা নির্ভর করবে কার্যপরিধিতে কী উল্লেখ আছে। আমার মতামতে বলেছি, কার্যপরিধিটা সুনির্দিষ্টভাবে করা উচিত। তবে আমাদের মানসিক প্রস্তুতি রয়েছে।’

ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমরা মশক নিধন কার্যক্রমে ব্যাপক হারে হাত দিয়েছি। জনগণও এটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করেছে। আমরা আশা করছি, ভালো কিছু উপহার দিতে পারবো। আগামী রবিবার (১৪ জুন) থেকে আমরা জলাশয়গুলো পরিষ্কার শুরু করে দিচ্ছি। পরের রবিবার নর্দমাগুলো পরিষ্কার করতে আরম্ভ করবো।  জলাশয় ও লেকগুলো আমরা পরিষ্কার করবো। এসব স্থানে আমরা মাছ ও হাঁস চাষ করবো, যাতে করে পানি সব সময় স্বচ্ছ থাকে।’