করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট: জেকেজিকে বাদ দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর

করোনাভাইরাসকোভিড-১৯ সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ, কেন্দ্র স্থাপন ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জেকেজি হেলথ কেয়ারের অনুমোদন বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আজ বুধবার (২৪ জুন) অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার জন্য অনুমতি পায় জোবেদা খাতুন সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা (জেকেজি) হেলথ কেয়ার।

জেকেজি বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পৃথক ছয়টি স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিল। এসব এলাকা থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করতো জেকেজি। শর্ত ছিল, সরকার নির্ধারিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠাতে হবে। জেকেজি হেলথ কেয়ার ওভাল গ্রুপের একটি অঙ্গসংগঠন।

তবে গতকাল মঙ্গলবার  (২৩ জুন) করোনার উপসর্গ থাকা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে কোনও ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতারকচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আরিফুল চৌধুরী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আর হুমায়ুন কবীর ও তানজিনা দম্পতি জেকেজির সাবেক স্টাফ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার মাহমুদ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গ্রেফতার প্রতারকদের কাছ থেকে জব্দ করা দুটি ল্যাপটপে প্রাথমিকভাবে ৩৭টি করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আরও কয়েকটি ল্যাপটপ ও কম্পিউটারে করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট রয়েছে। এই প্রতারকচক্র সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করে আসছিল।’