৮৭ দিন পর উবার চালু

উবারকরোনা ভাইরাসের মহামারি দেখা দেওয়ার পর ২৬ মার্চ থেকে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তবে ২১ জুন থেকে মোটরসাইকেল ছাড়া রাইড শেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআরটিএ। আর এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত যানগুলো চলতে পারবে  ঢাকা মেট্রো ও জেলা, গাজীপুর মেট্রো ও জেলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদীতে। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে জানা গেছে, রাইড শেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট নিয়েছে ২৫৫টি গাড়ি। এরমধ্যে উবারের মাত্র ১৫টি গাড়ি, পাঠাওয়ের ২টি গাড়ি, পিক মি-এর ৩২টি গাড়ি, সিএনএস এর ৬১টি গাড়ি, ওভাই এর ৮টি গাড়ি, ইজিয়ারের ১০০টি গাড়ি, আকিজ অনলাইনের ৩টি গাড়ি, সেজেস্টা’র ৩৪টি গাড়ি। শুধু মাত্র এসব গাড়ি সড়কে চলাচল করতে পারবে।

বিআরটিএ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, যেসব গাড়ির কাগজপত্র আপ-টু-ডেট আছে তাদেরকে রাইডশেয়ারিংয়ে চালানোর জন্য অনুমতি দিয়ে একটি অর্ডার মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে।

উবারের মুখপাত্র বলেন, পুনরায় সেবা চালুর পর সর্বোচ্চ মানের সেফটি প্রদান করছে উবার। আমাদের গ্লোবাল টেক ও সেফটি প্রোডাক্ট টিম কঠোর পরিশ্রম করছে সেফটির বিষয়গুলো উন্নত করতে। যেমন চালক ও যাত্রীকে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক ব্যবহার করা। ট্রিপ শুরুর আগে চালকের মাস্ক ভেরিফিকেশনের জন্য চালকের সেলফি। করোনার সুরক্ষা বিষয়ে চালকদের বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ, গাড়ি জীবানুমুক্তকরণ। সেফটি ও হাইজিন গাইডলাইন অনুসরণ করা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে যাত্রী ও চালক উভয়ের ফিডব্যাক নেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করে তবে তার  একাউন্ট সাসপেন্ড করা হবে। আমরা একটি গাড়িতে যাত্রীর সংখ্যাও সীমিত করেছি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে। সকল চালকদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রতিবার রাইড শেষে গাড়ি জীবানুমুক্ত করতে। আমাদের লক্ষ্য যাত্রী ও চালক উভয়েই সুরক্ষা নিশ্চিত করা। সম্প্রতি আমরা  ট্রান্সপোর্ট সেফটি অ্যালায়েন্স (টিএসএ) গঠন করেছি, যাত্রী ও চালকদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।