রাজধানীর রাজাবাজারে লকডাউন চলাকালে যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে সরকার, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ওয়ারীতে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে। রাজাবাজারে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি ও চ্যালেঞ্জ ধরা পড়েছে ওয়ারীর ক্ষেত্রে সেগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি নতুন নতুন কৌশল, নাগরিকদের মতামত গ্রহণ ও কর্মপদ্ধতি প্রয়োগেরও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলছে, রাজাবাজারে যেসব স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রয়োগ করা হয়েছে, ওয়ারীতেও সেগুলো প্রয়োগ করা হবে। এজন্য গত বুধবার (১ জুলাই) ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ২০টি এসওপি চূড়ান্ত করা হয়।
ডিএসসিসি বলছে, ওয়ারীকে লকডাউন করা তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ, ডিএসসিসি’র কোনও এলাকা এই প্রথম লকডাউন করা হচ্ছে। আবাসিক এলাকার পাশাপাশি ব্যবসায়িক দিক থেকেও ওয়ার্ডটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেই হিসেবে মানুষকে কতটা মানানো যাবে, সে বিষয়টিকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ডিএসসিসি।
এদিকে ওয়ারীতে লকডাউন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, সবকিছু উন্মুক্ত রেখে শুধু একটি এলাকাকে লকডাউন করে কতটা সফলতা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। কারণ, নির্ধারিত সময়ের পর যখন লকডাউন উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে, তখন আবারও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে। আবার কেউ কেউ বলছেন, নাগরিকদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে সরকার যদি যথাযথভাবে লকডাউন কার্যকর করতে পারে, তাহলে সেটি হবে যথার্থ।
এই এলাকার (ওয়ার্ড নম্বর ৩৪, ৩৮, ৪১) সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শাহিনুর বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নাগরিকদের চাহিদার কমতি নেই। আমরা তাদের কাছ থেকে অনেক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। এখন আমাদের বাঁচতে হলে লকডাউন কার্যকর করতে হবে। আমরা সাধারণ নাগরিকদের জন্য কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানে চাল-ডালের পাশাপাশি শাকসবজিও ফ্রি দিতে চাই।’
ছবি: নাসিরুল ইসলাম