আইজিপি বলেন, ‘এই করোনার সময়ে গত তিন মাসে পুলিশ বদলে গিয়েছে। পুলিশ জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। করোনায় পুলিশ জনগণের পাশে গিয়ে যেভাবে সেবা দিয়েছে, এর বেশিরভাগই পুলিশের কাজ ছিল না। এজন্য পুলিশকে বলাও হয়নি। নির্দেশও দেওয়া হয়নি। কিন্তু পুলিশ এ কাজটি করেছে একান্তই নিজের দায়িত্ববোধ থেকে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পুলিশ এত সম্মান, এত মর্যাদা আর কখনও পায়নি। করোনার এই তিন মাসে তা পেয়েছে। এখন জনগণ পুলিশের পক্ষে কথা বলছে। পুলিশের জন্য লিখছে। যারা কথায় কথায় পুলিশের সমালোচনা করতেন, তারাও আজ পুলিশের পক্ষে হৃদয় উজাড় করে বলছেন, পুলিশকে সমর্থন করেছেন। যে সম্মান-মর্যাদা আমরা গত তিন মাসে পেয়েছি তা টাকা দিয়ে কেনা যায় না। মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে মানুষের সঙ্গে থাকতে হয়, তাদের কাছে যেতে হয়, মানুষকে ভালোবাসতে হয়।’
আইজিপি বলেন, ‘একদিন করোনা চলে যাবে। এরপর কী হবে? আমরা কি আবারও আমাদের আগের স্বরূপে আবির্ভূত হবো? বাংলাদেশ পুলিশ আর পেছনে ফিরে যাবে না। জনগণের সম্মান ও ভালোবাসা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘জনগণের পুলিশ হতে হলে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। পুলিশে দুর্নীতিবাজের কোনও ঠাঁই নেই। মাদকের সঙ্গে কোনও পুলিশ সদস্যের সম্পর্ক থাকবে না। পুলিশকে হতে হবে মাদকমুক্ত। পুলিশের নিষ্ঠুরতা বন্ধ করে আইনি সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে। পুলিশকে যেতে হবে জনগণের দোরগোড়ায়।’
তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছে।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএমপির সব থানার অফিসার ইনচার্জসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।