রূপপুর বালিশকাণ্ড: ঠিকাদারের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ

সুপ্রিম কোর্টপাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ প্রকল্পে অস্বাভাবিক দামে আসবাবপত্র ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির এক মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ হোসেনের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আসামির আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (৫ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর  দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, আসিফ হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরেক মামলার জামিন স্থগিত হয়ে আছে। তাই আসিফের আইনজীবী এই মামলা আউট অব লিস্ট (কার্যতালিকা থেকে বাদ) চান। এরপর আদালত এ আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ প্রকল্পের একটি ভবনের জন্য অস্বাভাবিক দামে আসবাব ও অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির এক মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ হোসেনকে শর্তসাপেক্ষে ২৯ জুন জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

দু’টি মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন আসিফ হোসেন। এর মধ্যে একটিতে বিদেশ না যাওয়া, পাসপোর্ট জমা রাখা ও তদন্তে ব্যাঘাত না ঘটানোর শর্তে নিয়মিত কোর্ট খোলার এক সপ্তাহ পর পর্যন্ত তাকে জামিন দেন ভার্চুয়াল আদালত। অপর মামলাটির শুনানি রবিবার (৫ জুলাই) শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা ছিল।

এদিকে একই ঘটনায় করা আরেক মামলায় আসিফ হোসেনকে শর্তসাপেক্ষে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন গত ১ জুলাই স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদক পাবনায় এ দুইটি মামলা দায়ের করে। তারপর থেকে কারাগারেই আছেন আসিফ হোসেন। দু’টি মামলায় ভবনের আসবাবপত্র ক্রয়ে ৭ কোটি ৪৯ লাখ ৪২ হাজার ও ৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।