ওয়ারী থেকে বের হতে সিরিয়াল!

বের হওয়ার জন্য মানুষের লাইনওয়ারীর বাসিন্দা হাজী সমছুল আলম। লকডাউন এলাকা থেকে বের হওয়ার জন্য সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাইরে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে যাবো। সে কারণে এসেছি। বাসায় টাকা না থাকলে আমরা কীভাবে খাবো।’

তার মতো এমন অনেকেই নানা প্রয়োজনের কথা বলে খাতায় নাম লিখিয়ে এলাকা থেকে বের হচ্ছেন। সোমবার (৬ জুলাই) ওয়ারীর লকডাউন এলাকায় মানুষের দীর্ঘ  সিরিয়াল দেখা গেছে। ওয়ারীর হট কেক গলির সামনের রাস্তায় এমন চিত্র দেখা গেছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা বের হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। তবে দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন, তারা শুধু ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিস্ট ছাড়া কাউকে বের হতে দিচ্ছেন না। 

খাতায় নাম লিখে বের হচ্ছেন বাইরে

সোমবার বেলা ১১টার দিকে হট কেক গলির সামনে বের হওয়ার জন্য স্থানীয় নাগরিকদের ভিড়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সেখানে ৯২ জনের নাম খাতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভিড় সামলাতে সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গোল চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। আর এক একজন করে খাতায় নাম অ্যান্ট্রি করে বের হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকায় প্রবেশেরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। 

স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, মানুষকে বোঝানো যাচ্ছে না। তারা খুবই অদ্ভুত কারণ দেখিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার চেষ্টা করছেন। 

স্বেচ্ছাসেবক মামুন বলেন, ‘আমরা ডাক্তার, নার্স, রোগী ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া বাকি কাউকে এলাকা থেকে বের হতে দিচ্ছি না। মাইকিং করেও সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু মানুষ নানা কারণ দেখিয়ে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করছেন।’ 

খাতায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার দায়িত্বে থাকা রেড ক্রিসেন্টের একজন স্বেচ্ছাসেবক জানান, বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকে চাকরিজীবীরা এসে বের হতে চান। অফিস থেকে তারা ছুটি পাননি। ফলে তাদেরও বের হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

বাইরে বের হওয়ার জন্য অপেক্ষা

হেয়ার স্ট্রিটের বাসিন্দা নাছিমা আক্তার বলেন, ‘জ্বর আসছে ডাক্তার দেখাবো। সে কারণে বের হওয়ার জন্য এসেছি।’ 

তবে চিকিৎসার জন্য তো সিটি করপোরেশন থেকে দু’জন ডাক্তার ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে যাননি কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা তো আমরা জানি না।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। মানুষকেও বোঝানোর চেষ্টা করছি। আর কোনও ঘাটতি থাকবে না।