প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম ১৯৩৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার লালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালে সাবেক আহছান উল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্তমান বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৬৫ সালে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল সমিতির একজন ফেলো।
স্নাতক পাশের পর কিছুদিন তিনি সরকারি চাকরি করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি এ প্রকল্পে প্রকৌশল পরামর্শক হিসাবে কাজ করেছেন এবং দেশের বৃহত্তম নির্মাণ প্রকল্পসমূহে পরামর্শক হিসেবে অবদান রেখেছেন।
১৯৮৬ সালে বর্তমান তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রপথিক হিসেবে তার ছোট ভাই মো. আতিকুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে তৈরি পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ইসলাম গার্মেন্টস লিমিটেড অ্যান্ড গ্রুপ দেশের একটি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অনেকবার এই প্রতিষ্ঠান সেরা রফতানিকারক হিসাবে দেশ-বিদেশে রফতানি ট্রফি অর্জন করেছে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ভাই বোন, দুই ছেলে ও নাতি-নাতনি এবং অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। বাবা মোমতাজ উদ্দীন আহমেদ ও মা মাজেদা খাতুনের এগারো সন্তানের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ সন্তান। তার অন্য তিন ভাইও স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা অর্জন করেছেন। দ্বিতীয় ভাই মো. তাফাজ্জুল ইসলাম অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় প্রদান করেন। তৃতীয় ভাই লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক ও সেনাবাহিনীর প্রাক্তন চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) এবং আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছোট ভাই মো. আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসির মেয়র ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এর সাবেক সভাপতি।
আজ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বাদ জোহর বারিধারা ৮ নম্বর সড়কের বায়তুল আতিক মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।