নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাখ্যা দিলো স্কয়ার হাসপাতাল

1রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ এনেছেন এক নারী রোগী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি দাবি করেন, পরীক্ষা করার সময় ওই চিকিৎসক কথোপকথনের এক পর্যায়ে ‘তাকে ধর্ষণ করা দরকার’ বলে মন্তব্য করেন।
ভুক্তভোগী রোগী তার অভিযোগ উত্থাপনের নানা পর্যায়েই বলেছেন, ‘আমার আপত্তি এই বিশেষ চিকিৎসককে নিয়ে, স্কয়ার হাসপাতালের প্রতি নয়। হাসপাতালের সুনামের প্রতি আমার কোনও সন্দেহ নেই।’
গত শনিবার (১১ জুলাই) ওই রোগী যৌনাঙ্গের ‘ভিজিনিসমাস’ নামক এক অসুস্থতার জন্য স্কয়ার হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শক ডা. কাজী শামসুন নাহারের কাছে যান।পরীক্ষার এক পর্যায়ে ডাক্তারের কারণে যৌনাঙ্গের পেশীতে তীব্র ব্যথা অনুভূত করছেন বলে ডা. শামসুন নাহারকে জানান ওই রোগী। এরপরই চিকিৎসক ‘তাকে ধর্ষণ করা দরকার’ মন্তব্য করেন বলে দাবি ওই রোগীর। এসময় রোগীর সঙ্গে তার মাও ছিলেন।
এ বিষয়ে স্কয়ার হাসপাতাল তাদের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘রোগীর সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে তার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য এবং রোগীর শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা বোঝার জন্য খুবই যুক্তিসঙ্গত এবং প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্ন করি। শারীরিক অবস্থা বোঝার জন্য (যা রোগ নির্ণয়ের জন্য আবশ্যকীয়) অনুমতি সাপেক্ষে তার মায়ের উপস্থিতিতে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। পরবর্তীতে আমি গত ১২ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি, উক্ত রোগী আমার বিরুদ্ধে পুরোপুরি মনগড়া ও অনৈতিক ব্যাখ্যামূলক অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা কোনওভাবেই কাম্য নয়।

এর আগে ভুক্তভোগী ওই রোগী ফেসবুকে লিখেছেন, “তিনি আমাকে বলেছিলেন আমার স্বাস্থ্যের এই বিষয়গুলো নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলা উচিত নয়। তার মানে তিনি যৌনশিক্ষার চূড়ান্ত বিরোধী। তিনি আমাকে এও বলেন, ‘আধুনিকতার নামে এই বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করবে না।’ পরীক্ষার সময় আমি ব্যথা পাওয়ার কথা জানাই। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘এসব মেয়েদের হাজব্যান্ড একটু জংলী টাইপের হওয়া উচিত, যাতে তারা একবারে রেপ করে ফেলে। কারণ এই মেয়েরা পারমিশন দিতে চায় না, যেহেতু ওদের যৌন মিলনের সময় ব্যথা লাগে। সো একবারে রেপ করে দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে’।”
এ বিষয়ে স্কয়ার হাসপাতাল অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক (মেডিক্যাল সার্ভিসেস) ওয়াহিউদ্দিন মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ফেসবুকে যে ব্যাখ্যা দিয়েছি সেটাই আমাদের অফিশিয়াল অবস্থান।’