রিজেন্ট হাসপাতালের ৭ কর্মকর্তা কারাগারে

রিজেন্ট হাসপাতালকরোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির বিভিন্ন অভিযোগে করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের সাত কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন হাসপাতালের অ্যাডমিন আহসান হাবীব, এক্সরে টেকনিশিয়ান হাসান, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী, রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের এইচআর অ্যাডমিন অমিত অনিক, গাড়ি চালক আব্দুস সালাম ও আব্দুর রশীদ খান জুয়েল (২৮)।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপ-পরিদর্শক শেখ রকিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এদিন উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর গাজী আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তে প্রয়োজনে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ৮ জুলাই এই ৭ কর্মকর্তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. শাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। করোনা টেস্ট না করে রোগীদের জাল রিপোর্ট দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. শাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ, হাসপাতালের অ্যাডমিন আহসান হাবীব, এক্সরে টেকনিশিয়ান হাসান, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী, রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের এইচআর অ্যাডমিন অমিত অনিক, গাড়ি চালক আব্দুস সালাম, এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রশীদ খান জুয়েল, হাসপাতাল কর্মচারী তরিকুল ইসলাম, স্টাফ আব্দুর রশিদ খান, স্টাফ শিমুল পারভেজ, কর্মচারী দীপায়ন বসু, মাহবুবসহ আরও দুজন