ওয়ারীতে আরও কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের নির্দেশ তাপসের

ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস

রাজধানীর ওয়ারীতে আরও  কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে নগর ভবনে ওয়ারীর লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রীয় বাস্তবায়ন কমিটির দ্বিতীয় পর্যালোচনা সভায় এই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

ডিএসসিসি মেয়র এ সময় লকডাউন এলাকার বাসিন্দাদের আরও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ এই লকডাউন কার্যকর করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার অনুরোধ জানান।

মেয়র বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়ে ব্যবসা মুখ্য উদ্দেশ্য হতে পারে না। জনগণকে ন্যূনতম সেবা নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’

ডিএসসিসি মেয়র লকডাউন এলাকায় অবস্থিত প্যাসিফিক ফার্মাসিউক্যালসসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং তিনটি সুপারশপের মধ্যে যৌক্তিকতা বিবেচনায় যেকোনও একটি সুপারশপ খোলা রেখে বাকি দুটি বন্ধ করারও নির্দেশ দেন। এছাড়া, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহকারী ব্যক্তিদের সুনির্দিষ্ট নামের তালিকা প্রদান করতে বলেন। অন্যান্য সবার  যাতায়াত বন্ধ করারও নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্যাম্পল দিতে আরও  বেশি সচেতন হওয়ার জন্য তিনি জনগণকে আহ্বান জানান।

একলাখেরও বেশি লোকের এই এলাকায় গত ১১ দিনে মাত্র ১৪৮ জন লোকের স্যাম্পল প্রদান বাস্তবিক চিত্রের প্রতিফলন হতে পারে না মন্তব্য করে মেয়র তাপস বলেন, ‘জনগণকে আরও বেশি পরিমাণে স্যাম্পল দিতে সচেতন করুন, উদ্বুদ্ধ করুন। কারণ, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বলছে, লকডাউন শুরুর সময়কার সংক্রমণের হার এবং বর্তমান সংক্রমণের হার প্রায় একই, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’  তাই, যেসব বাসা-বাড়িতে এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী রয়েছে, সে সব বাড়ির বাসিন্দারা যাতে বাড়ির বাইরে যেতে না পারেন, সেটাও নিশ্চিত করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাই নির্দেশনা দেন।

এ সময় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো ও আইডিসিআরের প্রতিনিধি সভায় জানান,  এলাকার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে আজ  থেকে ২৮টি টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্যাম্পল প্রদানের আহ্বান জানাবে এবং এই স্যাম্পল প্রদানে সরকার নির্ধারিত ২০০ টাকা ফি জনগণকে দিতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এলাকার লোকজনের স্যাম্পল পরীক্ষা করা হচ্ছে। 

সভায় জানানো হয় যে, লকডাউন শুরুর সময়কার সংক্রমণের হার ছিল ৪০ শতাংশ, বর্তমানেও তা প্রায় ৪০ শতাংশ।  এছাড়াও স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে  ৬০০ লোককে প্রতিদিন তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন সকাল বেলা প্রায় ৩০০ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সবজি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।