গুলিস্তানের প্রায় দুইশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৩০ দিনের মধ্যে গুলিস্তানের ফুটপাত খালি হবে: সাঈদ খোকন

DCC_0120আগামী ৩০ দিনের মধ্যে গুলিস্তান এলাকার ফুটপাত খালি করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ গুলিস্তান হয়ে চলাচল করে। তাই এ এলাকার ফুটপাথ পরিচ্ছন্ন রাখতে উচ্ছেদ অভিযানসহ যা যা করা দরকার সব করা হবে। তবে পুনর্বাসন না করা পর্যন্ত হকাররা পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে ব্যবসা করতে পারবেন।
রবিবার দুপুরে গুলিস্তান এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানকালে মেয়র একথা বলেন। তিনি এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
মেয়র আরও বলেন, ফুটপাথ দখল করে স্থাপনা নির্মাণসহ ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও কতিপয় রাজনৈতিক নেতা সম্পৃক্ত থাকতে পারেন। কাউকে কোনও রকম চাঁদা না দেয়ার জন্য তিনি হকারদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এ উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

DCC_0042

মেয়র বলেন, নগরীর যত্রতত্র লাগানো রাজনৈতিক দৃষ্টিকটু ও সৌন্দর্যহানিকর বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন নির্ধারিত ৭২ ঘণ্টার আগেই আমরা অপসারণে সক্ষম হয়েছি। তিনি করপোরেশন গৃহীত এসব উদ্যোগ সফল করে তুলতে নগরবাসীসহ গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তা কামনা করেন।

অভিযান চলাকালে গুলিস্তান টিঅ্যান্ডটি অফিসের পূর্ব পাশের ফুটপাথ, সুন্দরবন মার্কেটের চারপাশ এবং ফুলবাড়িয়ায় বিআরটিসির কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের আশেপাশের অবৈধ দোকানপাট গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় গোলাপশাহ মাজারের সামনে কিছু হকার জড়ো হয়ে উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানায় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে মৃদু লাঠিচার্জ করে পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়।

উচ্ছেদ অভিযানে কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. খালিদ আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুস শোয়েব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ প্রমুখ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, নোটিশ দিয়ে, মৌখিকভাবে বলেও ফুটপাত দখলদারদের নিবৃত্ত করা যায়নি। ফলে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি জানান, অভিযানে প্রায় দুইশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। হকাররা যাতে আবার বসতে না পারে সে ব্যবস্থাও এবার করা হবে।

/ওএফ/এফএ/