তানভীর হাসান সৈকত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে আমাদের দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল। দুর্গতদের কষ্ট মহামারির কারণে প্রকট আকার ধারণ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের শিক্ষার্থীরা জনগণের করের টাকায় পড়ালেখা করে। তাই দেশের মানুষের প্রতি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতা আছে। সেই জায়গা থেকেই আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম বন্যাদুর্গতদের কেন্দ্র করে হওয়া প্রয়োজন। কারণ এখন তারাই সবচেয়ে বেশি অসহায়।’
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া শহরের অসহায়, ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষদের মধ্যে ঢাবি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ১২১ দিন খাবার বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন করেছেন সৈকত। গত ২৩ মার্চ শুরু হওয়া তার এই কার্যক্রম শেষ হলো আজ ২১ জুলাই। এর মধ্যে প্রথম ১০০ দিন দুই বেলা এবং পরবর্তী ২১ দিন একবেলা খাবার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গত রোজার ঈদে অন্তত এক হাজার নারী-পুরুষ-শিশুকে নতুন কাপড় বিতরণ করেন তিনি।