শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে টাকা ফেরত চেয়ে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন জানানো হয় বুধবার (২৯ জুলাই)। শিক্ষকদের পক্ষে বেনামী এই আবেদনের কপি দেওয়া হয় গভর্নিং বডির সভাপতির কাছেও।
জানতে চাইলে গভর্নিং বডির (জিবি) সভাপতি ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকরা নিজেদের উদ্যোগে করোনাকালীন সাহায্যের জন্য টাকা তুলেছেন ফান্ড করতে। কিছু শিক্ষকের আপত্তি ছিল। আপত্তির বিষয়টি জানার পর আমি বলেছি—সহয়তা তহবিল ম্যান্ডেটরি কিছু হবে না। যারা দিতে চায় দেবে, যারা বলবে দেবো না তারা ফেরত নিয়ে যাবেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিক্ষকরা মিলে সাহায্যের জন্য তহবিল করলে সেটি গভর্নিং বডির বিষয় নয়। তবে কারো কাছ থেকে চাপ দিয়ে টাকা নেওয়া যাবে না।’
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ফওজিয়া রেজওয়ান ১২ জুন ভার্চুয়াল বৈঠকে শিক্ষক ও প্রদর্শকদের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে তা ওঠানোর দায়িত্ব দেন শাখা প্রধান ও কলেজ কো-অর্ডিনেটরদের। জনপ্রতি ২ হাজার টাকা করোনাকালীন দরিদ্র তহবিল বাবদ এবং ৫০০ টাকা উত্তোলন করা হয় একজন শিক্ষককের চিকিৎসার বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য। ২০ জুনের মধ্যে টাকা উত্তোলন করে অধ্যক্ষের পিএ-এর কাছে জমা এই দিতে বলেন অধ্যক্ষ।
শিক্ষকদের অভিযোগ, ফান্ড গঠনের জন্য গভর্নিং বডির অনুমোদন আগে নেওয়া হয়নি। শিক্ষক ও প্রদর্শকদের পদ এক না হলেও সবার কাছেই সমান অর্থ আদায় করা হয়েছে। টাকা উত্তোলনের জন্য অফিসিয়াল লিখিত কোনও কিছু ছিলো না। অসুস্থ এবং যেসব শিক্ষকরা আর্থিক সমস্যায় রয়েছেন, তাদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘করোনাকালীন ফান্ড গঠন করা এবং একজন শিক্ষককের চিকিৎসার বকেয়া বিল পরিশোধে এই নির্ধারিত হারে টাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। মানুষকে সাহায্যের জন্য তহবিল গঠন করার বিষয়টি ছিল শিক্ষকদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে। তাই জিবির অনুমতি প্রথমে নেওয়া হয়নি। তবে অল্প কয়েকজন শিক্ষকের আপত্তির কারণে বিষয়টি জিবিতে নেওয়া হয়। যারা টাকা ফেরত নিতে চান তারা ফেরত পাবেন।’