সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম দুপুর ২টায় ডিএনসিসির সাঈদনগর কোরবানি পশুর হাট পরিষ্কারের মধ্যদিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সকালে বলেছেন, দুপুর দুইটার পর থেকেই কর্মীরা পরিচ্ছন্নতা কর্মক্রম শুরু করবেন।’ ডিএসসিরি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. এমদাদুল হক জানিয়েছেন, দুপুরের পরপরই তাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত যেসব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, সবগুলোই প্রয়োগ করা হচ্ছে।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এবছর ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে— এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন। প্রতিবছরের মতো এ বছরও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এ ছাড়া হালাল উপায়ে পশু কোরবানি করার জন্য ২৫০ জন ইমাম ও ২৫০ জন মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মেয়র আরও জানান, বর্জ্য অপসারণে ভারী ও হালকা মিলে ৪৩০টি যানবাহন মাঠে কাজ শুরু করেছে। ১১টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখার লক্ষ্যে প্রায় ৫১ টন ব্লিচিং পাউডার ও ৫ লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৯৬০ ক্যান তরল জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজ চলছে।
ডিএসসিসি আরও জানিয়েছে, ঈদের দিন প্রায় ৫ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ডিএসসিসি থেকে প্রায় এক লাখ বিশেষ ধরনের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ে ডিএসসিসির নিজস্ব, আউটসোর্সিং এবং প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিডব্লিউসিএসপি) কর্মীসহ মোট ছয় হাজার জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিদিনের সৃষ্ট বর্জ্য পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে। বর্জ্য অপসারণের জন্য ভারী ও হালকাসহ তিন শতাধিক যানবাহন মাঠে কাজ করছে। এছাড়া ১২টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখাতে ৪২ টন ব্লিচিং পাউডার ও ১৮০০ লিটার তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হবে।